শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় এক ইতালী প্রবাসী মানছেন না হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম কানুন। অভিযোগ রয়েছে তিনি দেশে ফেরার পর থেকেই ১৪ দিনের হোমকোয়ারেন্টানের নিয়ম না মেনে থেকেছেন তার স্ত্রীর সঙ্গে। এতে এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক সৃস্টি হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভূমখাড়া ইউনিয়নের চাকধ পাইট্রার মোড় এলাকার বাসিন্দা ইতালি থেকে ছুটিতে দেশে ফিরেছেন গত ১৪ মার্চ। সে ইতালির রোম শহরে একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করেন। ২০১১ সালে আগে কাগজপত্র ছাড়া দেশটিতে গিয়েছিলেন। ২০১২ সালে ইতালি সরকার সুযোগ দিলে থাকার বৈধতা পায়।
গতকাল বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে করোনাভাইরাসকালে দেশে ফিরে আসা প্রবাসীদের খোঁজখবর নিতে গিয়ে কথা হয় ইতালি প্রবাসীর সঙ্গে। তিনি জানান, ১৪ মার্চ শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে সরকারিভাবে বিআরটিসি গাড়িতে করে হজ্ব ক্যাম্পে নিয়ে যায় তাকে। তার সঙ্গে অন্যান্য জেলার ৩২জন ছিলেন। সেখানে পরীক্ষা শেষে তাকে ছেড়ে দেয়। তবে বিমানবন্দরে তাঁকে কেউ ঘর বন্ধের কথা বলেনি। তিনি জানান, বাড়িতে পৌঁছে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে চেয়েছেন তিনি। কিন্তু তার স্ত্রীর কথায় ১৪ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রী এক সাথেই থেকেছেন। স্ত্রী তাকে বলেছেন, মরলে একসাথেই মরবো, তোমার একা থাকার দরকার নাই। আমার সাথেই থাকো।
ভূমখাড়া ইউপি সদস্য জসিম ঢালী বলেন, যারা বিদেশফেরত তারা ১৪দিন একা একটি রুমে থাকবে । যাকে হোম কোয়ারেন্টাইন বলে। এ ব্যাপারে মসজিদ ও এলাকায় মাইকিং করে বলা হয়েছে। কিন্তু অনেকেই এ আইন মানছেন না। আমাদের এলাকার ঐ ব্যাক্তি ইতালি থেকে এসে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে তার স্ত্রীর সঙ্গে থাকছে বলে শুনেছি এবং লোকমুখে শুনেছি সে বাহিরে ঘোরা ফেরা করে।
নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: হাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পর আমরা ওই বাড়ীতে যাই এবং তাকে বাড়ীতেই পাই। সে যাতে বাহিরে ঘোরাফেরা না করে এ ব্যাপোরে তাকে সর্তক করে দিয়ে আসি।