শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভায় একটি ডোবা থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় এক স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কুলকুড়ি গ্রাম থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত স্কুল ছাত্রীর নাম কাজল আক্তার (১৫)। তিনি ওই গ্রামের আলাউদ্দিন ছৈয়ালের মেয়ে। ডামুড্যা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুলকুড়ি গ্রামের শ্রমজীবী আলাউদ্দিন ছৈয়ালের পাঁচ মেয়ে, এক ছেলে। কাজল আক্তার তার চতুর্থ সন্তান। বুধবার (২১ অক্টোবর) রাতে কাজলকে কে বা কারা হাত-পা ও মুখ বেঁধে হত্যা করেছে।
রাতে প্রতিদিনের মতো পাশের ঘরে টিভি দেখার জন্য বের হয় কাজল। আর ঘরে ফিরেনি । রাতে ঘরে না ফেরায় পরিবার প্রতিবেশি, আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন যায়গায় খোঁজ করে না পেয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা ডোবায় লাশ দেখে পুলিশকে জানালে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপতালে পাঠায়।
কাজল আক্তারের মা ভুলু বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, মেয়ে রাতে পাশের ঘরে টিভি দেখতে বের হয় । রাতে আর বাড়িতে ফিরেনি। রাতে কারা যেন আমার মেয়েকে হাত-পা, মুখ বেঁধে হত্যা করে ডোবায় ফেলে রেখেছে। আমার বুকের ধন যারা কেরে নিয়েছে তাদের ফাঁসি চাই।
ডামুড্যা ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সামসুল আলম সবুজ বলেন, আমার জানামতে কাজল অনেক ভালো মেয়ে। হাত-পা, মুখ বাঁধা অবস্থায় ডোবায় পরে ছিল মেয়েটি। মেয়েটিকে যারা হত্যা করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হোক।
ডামুড্যা থানার তদন্ত ওসি মো. এমারত হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। এখনও কেউ অভিযোগ করতে থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।