ঢাকা, রবিবার, ৪ঠা জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
ঢাকা, রবিবার, ৪ঠা জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মহান স্বাধীনতা দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাথে ইফতার

 স্টাফ রিপোর্টার, খাগড়াছড়ি :
২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

 

রবিবার (২৬মার্চ) বিকালে জেলা শহরের অফিসার্স ক্লাব অডিটোরিয়ামে “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মোঃ নাইমুল হক পিপিএম, পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স এর মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শানে আলম, প্রাক্তন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. রইস উদ্দিন, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়া প্রমুখ।

 

আলোচনা সভায় সভায় জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনজুরুল আলম এর সঞ্চালনায় দিবসটি উপলক্ষে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খাগড়াছড়ি সরকারি মহিলা কলেজ, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো: আব্দুস সালাম।

 

বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব হচ্ছে ঐতিহাসিক নেতৃত্ব। তারই নেতৃত্বে স্বাধীন হয়েছে দেশ। স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু চেয়েছিল সোনার বাংলা গড়তে। বঙ্গবন্ধু সেটা করে যেতে পারেনি। কিন্তু তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সেটা করেছেন। বর্তমানে তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যও অনেক কিছু করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। তাই সত্যিকারে সোনার বাংলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

 

সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে  বীর মুক্তিযোদ্ধা রইস উদ্দিন বলেন, শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মুক্তিযোদ্ধা দের সম্মান করেছে। অন্তত: মৃত্যুর আগ মূহুর্তে আমাদের জন্য কিছু করেছেন। কিন্তু যেটার জন্য আমরা দেশ স্বাধীন করেছি, তা কি ঠিক আছে ? এমনই প্রশ্ন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে মো. রইস উদ্দিন।

 

সভা শেষে স্বাধীনতা যুদ্ধে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।


error: Content is protected !!