চির নূতনেরে দিলো ডাক পঁচিশে বৈশাখ’ প্রতিপাদ্যকে নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শরীয়তপুর পুলিশ সুপারের বাসভবনের পদ্মমালঞ্চে পুলিশ কল্যাণ সমিতির (পুনাক) আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করা হলো কবিগুরুর ১৬২তম জন্মজয়ন্তী। এ উপলক্ষে গভীর রাত পর্যন্ত ছিল কবিকে নিয়ে স্মৃতিচারণ, নাচ-গান ও কবিতাসহ নানা আয়োজন।
রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে পুলিশ লাইনস ও পুলিশ সুপারের কার্যালয় চোখ ধাঁধাঁনো আলোকসজ্জা করা হয়। এর আগে, সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ লাইনসে পুলিশ টেনিস কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
শরীয়তপুর পুলিশ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মনিরুল ইসলাম বলেন, শরীয়তপুরে এই প্রথম রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানটি চমৎকার গোছানো হয়েছে। আশা করি প্রতি বছর এমন দুর্দান্ত প্রোগ্রামের আয়োজন করবেন পুনাকসহ অন্যরা। স্মরণ করবেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুলসহ গুণীজনদের।
জেলা পুনাক সাধারণ সম্পাদিকা ডা. আফসানা আক্তার চৌধুরী বলেন, আজকের এই আয়োজন ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। রবীন্দ্রনাথ মিশে আছেন আমাদের আত্মার সাথে। আমরা তাকে স্মরণ করি প্রতিটি দিন। তাকে বেশি করে মনে পড়ে রবীন্দ্র জয়ন্তীতে।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার সাইফুল হক বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি আমাদের যে ঋণ তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে আমাদের যে জায়গায় অবস্থান দিয়ে গেছেন নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির মাধ্যমে। তিনি বাংলা ভাষাকে, বাংলা সাহিত্যকে প্রাণ দিয়েছেন। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে তার প্রতি আমাদের যে ঋণ, সেই ঋণের কিছুটা দায় শোধ করতে পেরেছি।
জেলা পুনক সভানেত্রী মোহছেনা হক বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষা, বাংলা সাহিত্যে জড়িয়ে আছেন। তার জয়ন্তীতে আমরা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। তার মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্য আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে। রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে আমরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। অনুষ্ঠানে স্থানীয় ও ঢাকার শিল্পীরা নাচ-গান ও কবিতা আবৃত্তি করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুরের কমান্ড্যান্ট অতিরিক্ত ডিআইজি এসএম আশরাফুজ্জামান, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান, পুলিশ সুপার সাইফুল হক, জেলা পুলিশ কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী মোহছেনা হক, সাধারণ সম্পাদিকা ডা. আফসানা আক্তার চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার, সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে প্রমুখ।