রাজধানীর উত্তরা এলাকায় রেললাইনের পাশ দিয়ে হাতি নিয়ে টাকা তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় মারা যাওয়া হাতিটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে গাজীপুরের ন্যাশনাল পার্কে মাটি চাপা দিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। বুধবার (১৭ মে) দুপুরে হাতিটি মারা যায়। 

এ ব্যাপারে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নিগার সুলতানা বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সকালে ঢাকা রেলওয়ে থানায় জিডি করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্তও হাতিটির মাহুত বা মালিকের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, একজন মাহুত হাতিটি দিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি করছিলেন। দুপুর পৌনে ২টার দিকে ঢাকা রেলওয়ে থানাধীন উত্তরার কোর্টবাড়ি রেলগেট এলাকা অতিক্রমকালে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস নামে ট্রেনের ধাক্কায় হাতিটি মারা যায়।

বিমানবন্দর স্টেশনের রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আকবর আলী জানান, বুধবার দুপুরে মাহুত রাজধানীর কোর্টবাড়ি এলাকা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটের পাশ দিয়ে দুটি হাতি নিয়ে দক্ষিণ দিকে যাচ্ছিলেন। দুপুর পৌনে ২টার দিকে ট্রেনের সঙ্গে একটি হাতি ধাক্কা খায়। পরে ঘটনাস্থলেই হাতিটি মারা যায়। এ সময় অন্য হাতিসহ মাহুত পালিয়ে যায়। দুর্ঘটনাকবলিত হাতিটির শরীর জখম হয় ও একটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দিলে রাত পৌনে ১টার দিকে উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনার পর থেকে উদ্ধারের পূর্ব পর্যন্ত রেলওয়ে পুলিশ হাতিটি পাহাড়া দেয়।

বন বিভাগের ঢাকার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নিগার সুলতানা জানান, এ ব্যাপারে তিনি বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা রেলওয়ে থানায় একটি জিডি করেছেন। পরে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের চিকিৎসক মো. মোস্তাফিজুর রহমান কর্তৃক ময়নাতদন্ত শেষে গাজীপুরের ন্যাশনাল পার্কের ভেতরে মাটি চাপা দেওয়া হয়। হাতিটি পালনের কোনো লাইসেন্স ছিল কি-না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে হাতির মালিক বা মাহুতের সন্ধান ও পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। তাদের সন্ধান পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।