জলি হোসাইন, শরীয়তপুরের -জাজিরা-নাওডোবা (পদ্মা ব্রিজ এ্যাপ্রোচ) ফোর লেন রাস্তার জন্য ১৬৮২ কোটি ৫৮লাখ ৯৭ হাজার টাকা অনুমোদন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ২৯তম সভায় ১৩ হাজার ৬৩৯ কোটি ১ লাখ টাকার ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার দেবে ৮ হাজার ৮৮৬ কোটি ৪৪ লাখ, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২৯৩ কোটি ১৬ লাখ এবং বৈদেশিক ঋণ ৪ হাজার ৪৫৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের সামনে তা তুলে ধরেন।
পদ্মা সেতুর সুফল যাতে শরীয়তপুরবাসী পান সেজন্য এই সেতুর সঙ্গে বিদ্যমান সড়কের সংযোগ তৈরি এবং সড়কটির উন্নয়নে এক হাজার ৬৮২ কোটি ৫৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকার এই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়।
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘শরীয়তপুর-জাজিরা-নাওডোবা (পদ্মা ব্রিজ অ্যাপ্রোচ) সড়ক উন্নয়ন’ শীর্ষক এই প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন দেয়ায়, আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র চিরকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এছাড়াও শরীয়তপুরবাসীর জন্য আরো খুশির সংবাদ এই একনেক সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে মেঘনা সেতু (শরীয়তপুর -চাঁদপুর) ও শরীয়তপুরে রেল ব্যবস্থার ব্যাপারে অনুরোধ করলে তিনি তাও করে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। তাইতো আমি সব সময় বলি, যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার হাতে দেশ আর পিছাবেনা বাংলাদেশ।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নেওয়া এ প্রকল্প ২০২২ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। পুরো অর্থই সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে।
প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বর্তমানে শরীয়তপুর জেলার বাসিন্দাদের কাওড়াকান্দি (কাঁঠালবাড়ি) ফেরিঘাট হয়ে ঢাকাসহ সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। বর্তমানে পদ্মাসেতু বহুমুখী নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় জাজিরা প্রান্তে একটি সংযোগ সড়ক নির্মিত হচ্ছে।
ওই সংযোগ সড়কের সঙ্গে শরীয়তপুরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে হলে জাজিরা থেকে নাওডোবা পর্যন্ত নতুন করে দুই কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করতে হবে। মূলত নতুন এই সড়ক নির্মাণের জন্যই এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, বর্তমানে শরীয়তপুর- জাজিরা-কাওড়াকান্দি জেলা সড়কের মাধ্যমে ওই এলাকার মানুষ যোগাযোগ করে। প্রায় ২৯ কিলোমিটারের ওই সড়কটির প্রস্থ কোথাও ৩ দশমিক ৩ মিটার আবার কোথাও ৫ দশমিক ৫ মিটার। নতুন এই প্রকল্পটির মাধ্যমে পুরো সড়কটি ৭ দশমিক ৩ মিটারে উন্নীত করা হবে।
বর্তমানে ওই সড়কের ওপর দিয়ে বছরে গড়ে প্রায় ২ হাজার ৪৫৫টি ভারী যানবাহন এবং ৯ হাজার ৫২২টি হাল্কাসহ ১১ হাজার ৯৭৭টি যানবাহন চলাচল করে।
পদ্মাসেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল শুরু হলে ওই সব রাস্তায় যান চলাচল বেড়ে যাবে বলে সড়কটির প্রস্থ বৃদ্ধি করার এই প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর জুনের পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে বলে আশা করছে সরকার।