ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩রা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩রা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ময়মনসিংহে সেতু ভেঙে ১০ গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বন্ধ

ময়মনসিংহে সেতু ভেঙে ১০ গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বন্ধ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় আয়মন নদীর ওপর নির্মিত গহুর মোল্লা সেতু ভেঙে পড়েছে। এতে ১০ গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় কলসা, গড়বাজাইল, চাপুড়িয়া ভিটিবাড়ীসহ প্রায় ১০ গ্রামের বাসিন্দারা।

শুক্রবার (৩০ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার খেরুয়াজানী ইউনিয়নের পলশা ভিটিবাড়ী গ্রামের সেতুটি ভেঙে পড়ে।

টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে আয়মন নদীতে পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং অপরিকল্পিত নদী খননের কারণে মাটি সরে যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গহুর মোল্লার সেতুটি ২০০১ সালের দিকে আয়মন নদীর ওপর নির্মাণ করে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। সম্প্রতি সেতুটি সংরক্ষণ না করেই অপরিকল্পিতভাবে আয়মন নদীর খনন কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে গোড়ার মাটি সরে গিয়ে সেতুটি নড়বড়ে হয়ে পড়ে। যার ফলে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে নদীর পানির স্রোতের প্রবল ধাক্কায় নিমিষেই সেতুটি ভেঙে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম বলেন, এই সেতু দিয়ে স্থানীয় ১০ গ্রামের বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীদের চলাচল। হঠাৎ করে সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় হাজার হাজার মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

আফজাল হোসেন নামে অপর এক বাসিন্দা জানান, অপরিকল্পিতভাবে আয়মন নদী খননের কারণেই এই সেতু ভেঙে পড়তে দেখলাম। অতি দ্রুত এই সেতু সংস্কার করতে হবে।

মুক্তাগাছা উপজেলা প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সেতুটি আমরাই নির্মাণ করেছিলাম। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন করার কারণে এটি ভেঙে গেছে। তবে মানুষের দুর্ভোগ কমাতে  ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আপাতত বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করার চিন্তা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত পুনরায় সেতুটি নির্মাণ করার জন্য মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতিকুল ইসলাম জানান, সেতুটি ভেঙে পড়ার খবর শুনেছি। পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপরিকল্পিত নদী খনন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আখলাক উল জামিল বলেন, আমরা নদী খনন করার পূর্বে উপজেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি সেতুটি সংরক্ষণ করার জন্য। আমরা সেতুর দুই পাশের ৩০ মিটারের মধ্যে খনন কাজ করিনি। এখন যদি সেতু ভেঙে পড়ে তাহলে দায় আমরা কেন নেব।


error: Content is protected !!