
সংশোধিত বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালার কালো আইন বাতিলের দাবিতে সোমবার সকাল ১১টায় মতিঝিল এফবিসিসিআই ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে এফবিসিসিআই স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদ। এই পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- ২০২৫ সালের বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা ব্যবসায়ীদের অস্তিত্বের ওপর চাপানো নতুন এক শৃঙ্খল। এক ব্যক্তি টানা দুই মেয়াদ পরিচালক থাকলে পরবর্তী নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিতে হলে তাকে এক মেয়াদ বিরতি দিতে হবে এমনকি ১৯৯৪ সালের আইনের অধীনে নির্বাচিত নেতাদের ক্ষেত্রেও এই বিধান প্রযোজ্য।
এর ফলে অভিজ্ঞ ও জনপ্রিয় নেতা এবারের নির্বাচনে অযোগ্য হয়ে পড়বেন। এতে নেতৃত্ব শূন্যতা তৈরি হবে যা যে কোনো বাণিজ্য সংগঠনের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন, সংগঠনটির আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন ও সদস্য সচিব মো. জালাল উদ্দিন, সংগঠনটির যুগ্ম-আহ্বায়ক মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, আবু মোতালেব, নিজামউদ্দিন রাজেস, শফিকুল ইসলাম ভরসা, নিয়াজ আলী চিশতিসহ এফবিসিসিআইয়ের জেনারেল বডির (জিবি) কয়েক শত সদস্য।
এ ছাড়া এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আফতাব জাভেদ ও আমির হোসেন নূরানী ও ব্যবসায়ী নেতা মো. আসলাম আলী মানববন্ধন কর্মসুচিতে বক্তব্য রাখেন। সম্প্রতি এফবিসিসিআই স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদের উদ্যোগে ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এই কালো আইন বাতিল করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সংস্কারের নামে শোষণ চলবে না। দেশের প্রতিটি বাণিজ্য সংগঠন চলবে সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে। বৈষম্যবিরোধী নামের ব্যক্তিগত ইচ্ছায় কোনো সংস্কারে ব্যবসায়ীদের সমর্থন থাকবে না। ব্যবসায়ীদের অধিকার রক্ষা কর। চলো চলো এফবিসিসিআই চলো। কালো আইন নয়, ন্যায় আইন চাই। ওই সময় সহায়ক কমিটি বাতিলসহ কালো আইন বাতিল করে দ্রুত নির্বাচন দাবি করা হয়।
বক্তারা জানান, একটি শ্রেণিকে বিশেষ সুবিধা দিতে নতুন আইন করা হয়েছে। এফবিসিসিআইসহ অধিভুক্ত সংগঠনগুলো অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হলেও বিভিন্ন চাঁদা এমনভাবে বাড়ানো হয়েছে যা করপোরেট হাউজকেও ছাড়িয়ে গেছে। বাণিজ্য সংগঠন নেতৃত্ব শূন্য করতেই অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীদের নির্বাচনে দূরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে নতুন আইনে। তারা বলেন, যে মুহূর্তে ব্যবসায়ীদের ভ্যাট ও ট্যাক্সের সাথে যুদ্ধ করতে হচ্ছে সে মুহূর্ত এ ধরনের আয়োজন একটি কালো আইন হিসেবেই বিবেচিত হবে। আমাদের মতো দেশে এ ধরনের আইন বাস্তবায়ন হওয়া কঠিন।
ব্যবসায়ীরা দেশের প্রাণ। তাই ব্যবসায়ীদের স্বার্থেই বাণিজ্য সংগঠন আইন সংশোধন কিংবা নতুন আইনটি বাতিল করে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়- এই কালো আইন ব্যবসায়ীদের স্বাধীনতা ও সংগঠন ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধই করছে না, বরং প্রভাবশালীদের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে। এটি একটি সুপরিকল্পিত বাধা, যা বাণিজ্য সংগঠনগুলোকে আরও দুর্বল করবে। নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা ভঙ্গ করা হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, এই আইনের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের ভোটাধিকার অংশগ্রহণের সুযোগ হরণ করা হয়েছে।