ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জবাবদিহিমূলক বিজিএমইএ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ফোরামের

স্বচ্ছ, কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক বিজিএমইএ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছে ফোরাম। টেকসই পোশাক শিল্পের ভবিষ্যতের জন্য ৯টি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরেছে সংগঠনটি।

রোববার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের নেতারা তাদের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান বাবু লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন।

মাহমুদ হাসান খান বলেন, পোশাক শিল্প জাতীয় অর্থনীতি, জিডিপি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, কর্মসংস্থান এবং নারীর ক্ষমতায়নে বিশাল ভূমিকা রাখছে। তবে দীর্ঘ ৪৫ বছরের পথচলায় এ খাতটি এখনও পুরোপুরি টেকসই হয়ে উঠতে পারেনি।

তিনি বলেন, বিজিএমইএর পক্ষ থেকে অতীতে যতটা শক্তিশালী ভূমিকা আশা করা গিয়েছিল, ততটা দেখা যায়নি। বরং একটি গোষ্ঠী সরকারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করেছে। তবে পোশাকখাতের মালিকরা সবসময় একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক বিজিএমইএ চেয়েছেন।

প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান জানান, ফোরাম ৩৫ জন পরিচালক পদপ্রার্থী নির্বাচন করেছে। এ প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা, তরুণ নেতৃত্ব, দূরদর্শিতা এবং অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন, ফোরামের প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে একটি নতুন বিজিএমইএ গঠিত হবে এবং তারা দৃঢ়তার সঙ্গে পোশাক খাতকে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন।

পোশাক খাতের অগ্রগতি, উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ফোরাম নেতারা ৯টি কৌশলগত প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। তাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ নীতি সহায়তা নিশ্চিত করা, ব্যাংক ও কাস্টমস সংক্রান্ত হয়রানি দূর করা, রুগ্ণ শিল্পগুলোর জন্য বিশেষ নীতি সহায়তা প্রদান এবং অনিয়ন্ত্রিত কারণে রুগ্ণ হওয়া কারখানাগুলোর জন্য একটি সুস্পষ্ট এক্সিট পলিসি প্রণয়ন করা।

তিনি আরও জানান, তাদের প্যানেলে এমন প্রার্থীদের নির্বাচন করা হয়েছে যারা শুধু পরিচালক হওয়ার জন্য আসেননি, বরং শিল্পের জন্য কাজ করতে চান। নির্বাচিত হলে বিজিএমইএ আর শুধু কার্ডধারী পরিচালকদের বা দলীয় কার্যালয় হিসেবে পরিচিত হবে না।

ফোরাম নেতারা অভিযোগ করেন, বিগত দিনে অনেক মালিক বিজিএমইএতে গিয়ে সহযোগিতা পাননি বরং হয়রানির শিকার হয়েছেন। তবে ফোরাম নেতৃত্ব পেলে সংগঠনটি মালিক ও শ্রমিক উভয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে এবং এখানে রাজনৈতিক বিবেচনা স্থান পাবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা পালাতক রয়েছেন এবং অনেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে তাদের কেউই বিজিএমইএর সভাপতি পদে ছিলেন না। এটি তাদের ব্যক্তিগত কর্মের ফল।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ফোরামের মহাসচিব ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী, প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক ফয়সাল সামাদ প্রমুখ।


error: Content is protected !!