ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাবিন ছাড়াই ৭ বছর সংসার, পরে সন্তানসহ অস্বীকার: অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার

শরীয়তপুর গোসাইরহাটে কাবিন নামা ছাড়াই এক নারীর সঙ্গে ৭ বছর সংসার করার পর সন্তানসহ তাঁকে অস্বীকার করার অভিযোগে সাইফুল্লাহ সিকদার (৩০) নামে এক মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শরীয়তপুর বিজ্ঞ আদালতে এক নারী মামলাটি দায়ের করেন।

সোমবার ঢাকা কেরানীগঞ্জ র‍্যাব – ১০ এর সহযোগীতায় সাইফুল্লাহ কে নারায়গঞ্জ এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার আদলাতে পাঠায়।

গ্রেপ্তারকৃত সাইফুল্লাহ গোসাইরহাট উপজেলার বিনটিয়া গ্রামের সিরাজুল মনির সিকদারের ছেলে এবং নারায়নগঞ্জে একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন।

মামলায় ঐ নারী উল্লেখ করে বলেন,কাবিন ছাড়াই ‘আমার সঙ্গে বছরের পর বছর সংসার করেছেন সাইফুল্লাহ। কিন্তু কোনো কাবিননামা করেননি। ৭ বছর ঘর সংসার করার পর সন্তানসহ অস্বীকার করেছেন মামলার অভিযুক্ত সাইপুল্লাহ।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বাদীর বাড়ির পাশাপাশি সাইফুল্লার বাড়ি সেই সুবাদে সে বাদীর ঘরে আসাযাওয়া করতো একপর্যায়ে সে সাইফুল্লাহ বাদীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় পরে সে না বলে দেয়, কিন্তু বিভিন্ন মিথ্যা প্ররোচনায় অবশেষে ‘ ২০১৮ সালে সাইফুল্লাহর সঙ্গে বাদীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তখন ভোক্তভুগীর বয়স ১৪ বছর সেসময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন যায়গায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে।এমন অবস্থায় বাদী অভিযুক্ত সাইফুলকে বিয়ের কথা বলে। একইবছর ২০১৮ সালের ১৬ নভেম্বর পরিবার-পরিজন ছেড়ে তিনি সাইফুল্লাহর সঙ্গে তার বাড়িতে চলে যান। ওই সময় সাইফুল্লাহ তাকে তার বাড়িতে একটি ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে মামলার আরেক আসামী সাজ্জাদ আলমের সহযোগীতায় কিছু ভুয়া কাগজপত্রে স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাদী বিয়ে করেন। ওই সময় তাঁর কাছ থেকে একটি কাগজে সই নেওয়া হয়। সেইসময় অভিযুক্ত সাইফুল্লাহ বলেন আজ থেকে আমরা স্বামী স্ত্রী। তবে কি রকম কাগজে সই নেওয়া হয়েছিল সেটি ভুক্তভোগী জানতেন না।

এ বিষয়ে বাদী বলেন, ‘সাইফুল্লাহ কে বিশ্বাস করে সংসার করেছি। সাইফুল ঢাকার কেরানীগঞ্জে চাকরী করতো। এরপর থেকে সাইফুল্লাহ আমার কাছে টাকা দাবি করতো।

আমি গহনা বিক্রি করে ও বাবার বাড়ি থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা এনে দিয়েছে। কিন্তু একপর্যায়ে আমি টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেই।

এ নিয়ে টানাপোড়নের জেরে ২০২৫ সালে মার্চ মাসের ২৯ তারিখে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন সাইফুল্লাহ। এখন তিনি আমাকে এবং আমার সন্তানকে অস্বীকার করছেন। আমার ছেলের বয়স ৩ বছর। এখন সাইফুল্লাহ বলছে সে আমাকে বিয়ে করেনি। তার কোনো সন্তান নেই। সে আমার সঙ্গে বড় ধরনের প্রতারণা করে সংসার করেছে।’

গোসাইরহাট থানার ওসি মো.মাকসুদ আলম বলেন, প্রতারনা করে কাবিন ছাড়া সংসার পরে সন্তানসহ অস্বীকার করায় মামলা করে এক নারী। অভিযুক্ত কে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


error: Content is protected !!