ঢাকা, বুধবার, ২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঢাকা, বুধবার, ২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক নজরে কানাডার ইতিহাস ঐতিহ্য (সকল অজানা তথ্য)

নজরুল মিন্টু: নীল সমুদ্র, বরফাবৃত পাহাড়, সবুজ বনাঞ্চল, অসংখ্য ঝরনা ও নদী, বিচিত্র প্রাণী আর নৈসর্গিক সৌন্দর্যের মেলবন্ধনে কানাডা হয়ে উঠেছে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় দেশ। প্রকৃতি ও আধুনিকতার এক দুর্দান্ত সংমিশ্রণ, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে কানাডাকে আলাদা করে তুলেছে। উত্তর আমেরিকা মহাদেশের প্রায় অর্ধেক জুড়ে অবস্থিত এই বিশাল দেশটির আয়তন প্রায় ৯৯,৮৪,৬৭০ বর্গ কিলোমিটার, যা বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম। দেশটির তিনদিক ঘিরে আছে আটলান্টিক, প্রশান্ত ও আর্কটিক মহাসাগর।

লেখক: নজরুল মিন্টু।

কানাডার রাজধানী অটোয়া, যা অন্টারিও প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে কানাডার জনসংখ্যা প্রায় চার কোটি, যার বৃদ্ধির হার বার্ষিক ০.৮৭ শতাংশ। ইংরেজি ও ফরাসি হলো কানাডার সরকারি ভাষা। তবে শতাধিক ভাষাভাষীর বসবাস রয়েছে এই দেশে। কানাডায় রয়েছে ১০টি প্রদেশ ও ৩টি টেরিটরি।
প্রত্যেকটি প্রদেশ এবং টেরিটরির রয়েছে আলাদা বৈশিষ্ট্য, ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং সৌন্দর্য। নিচে বিস্তারিতভাবে কানাডার প্রদেশসমূহ এবং টেরিটরিগুলোর রাজধানী, অবস্থান এবং বিখ্যাত স্থানসমূহ তুলে ধরা হলো:

 

১. অন্টারিও
রাজধানী: টরন্টো।
অবস্থান: মধ্য কানাডায় অবস্থিত।
বিখ্যাত যে কারনে: টরন্টো শহর, সিএন টাওয়ার, নায়াগ্রা জলপ্রপাত, থাউজেন্ড আইল্যান্ড, অটোয়া (জাতীয় রাজধানী)।

 

২. কুইবেক
রাজধানী : কুইবেক সিটি।
অবস্থান : পূর্ব কানাডায় অবস্থিত।
বিখ্যাত যে কারনে: মন্ট্রিয়ল শহর, ঐতিহাসিক ফরাসি সংস্কৃতি, পুরনো কুইবেক সিটি, মন্ট ট্রেম্ব্লান্ট।

 

৩. ব্রিটিশ কলাম্বিয়া
রাজধানী : ভিক্টোরিয়া।
অবস্থান : পশ্চিম কানাডায় প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত।
বিখ্যাত যে কারনে: ভ্যাঙ্কুভার শহর, রকি পর্বতমালা, ভিক্টোরিয়া শহর, হোয়াইটলার স্কি রিসোর্ট।

 

৪. আলবার্টা
রাজধানী : এডমন্টন।
অবস্থান : পশ্চিম কানাডায় অবস্থিত।
বিখ্যাত যে কারনে: ব্যান্ফ ন্যাশনাল পার্ক, জ্যাস্পার ন্যাশনাল পার্ক, ক্যালগারি স্ট্যাম্পিড, তেল ও গ্যাস সম্পদ।

 

৫. ম্যানিটোবা
রাজধানী : উইনিপেগ।
অবস্থান : মধ্য কানাডায় অবস্থিত।
বিখ্যাত যে কারনে: উইনিপেগ শহর, দ্যা ফর্কস, পোলার বিয়ার রাজধানী চার্চিল শহর।

 

৬. সাসকাচুয়ান
রাজধানী : রেজাইনা।
অবস্থান : মধ্য-পশ্চিম কানাডায় অবস্থিত।
বিখ্যাত যে কারনে: কৃষি উৎপাদন, প্রেইরি ভূমি, সাসকাটুন শহর, ওয়াসকানা লেক।

 

৭. নিউ ব্রান্সউইক
রাজধানী : ফ্রেডেরিকটন।
অবস্থান : পূর্ব কানাডায় অবস্থিত।
বিখ্যাত যে কারনে: মাছ ধরার ঐতিহ্য, বে অফ ফান্ডি, মনকটন শহর, হোপওয়েল রকস।

 

৮. নোভা স্কোশিয়া
রাজধানী : হ্যালিফ্যাক্স।
অবস্থান : পূর্ব কানাডায় আটলান্টিক উপকূলে অবস্থিত।
বিখ্যাত যে কারনে: হ্যালিফ্যাক্স শহর, ক্যাপ ব্রেটন দ্বীপ, পেগিস কোভ, লুনেনবার্গ।

 

৯. প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ড
রাজধানী : শার্লোটটাউন।
অবস্থান : পূর্ব কানাডার আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত।
বিখ্যাত যে কারনে: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, অ্যান অফ গ্রিন গেবেলস, সমুদ্র সৈকত।

 

১০. নিউফাউন্ডল্যান্ড ও ল্যাব্রাডর
রাজধানী : সেন্ট জনস।
অবস্থান : কানাডার পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত।
বিখ্যাত যে কারনে: মৎস্যশিল্প, আইসবর্গ এলি, গ্রস মর্নে ন্যাশনাল পার্ক।

 

টেরিটরিসমূহ:
১. ইউকন
রাজধানী : হোয়াইটহর্স।
অবস্থান : উত্তর-পশ্চিম কানাডায় অবস্থিত।
বিখ্যাত যে কারনে: ক্লন্ডাইক গোল্ড রাশের ইতিহাস, অরোরা বোরিয়ালিস, মাউন্ট লোগান।

 

২. নর্থওয়েস্ট টেরিটরিজ
রাজধানী : ইয়েলোনাইফ।
অবস্থান : উত্তর কানাডায় অবস্থিত।
বিখ্যাত যে কারনে: গ্রেট স্লেভ লেক, ডায়মন্ড খনি, অরোরা বোরিয়ালিস দর্শনের জন্য বিখ্যাত।

৩. নুনাভুট
রাজধানী : ইকালুইট।
অবস্থান : উত্তর-পূর্ব কানাডায় অবস্থিত।
বিখ্যাত যে কারনে: ইনুইট সংস্কৃতি, বরফাচ্ছন্ন ভূমি, বাফিন দ্বীপ।

 

কানাডার ইতিহাস হাজার বছরের পুরনো। প্রায় ১৪ হাজার বছর আগে এশিয়া থেকে আসা আদিবাসীরা কানাডায় প্রথম বসতি স্থাপন করেন। এরপর ১৫ শতকের শেষ দিকে ইউরোপীয় অভিযাত্রীরা কানাডায় আসেন। ১৮৬৭ সালের ১ জুলাই ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে কানাডা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। কানাডার রাষ্ট্রপ্রধান থাকেন ব্রিটেনের রাজা বা রানী, যাঁর প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন একজন গভর্নর জেনারেল।

 

অনেক কানাডিয়ানই জানেন না যে, কানাডার অফিসিয়াল নাম হচ্ছে ডমিনিয়ন অব কানাডা। কানাডার বর্তমান জাতীয় পতাকার বয়স বেশিদিনের নয়। ১৯৬৪ সালে স্ট্যানেলি নামে ক্যালগেরির এক সৈনিক ম্যাপেল পাতাখচিত এই পতাকার নকশা তৈরি করেন। প্রায় দুই হাজার নকশার মধ্য থেকে এই নকশাটি বাছাই করা হয় এবং ১৯৬৫ সালের ১৫ই ডিসেম্বর থেকে এ পতাকা সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে। সেই সঙ্গে ম্যাপেল পাতাটিও রাষ্ট্রীয় প্রতীক হিসেবে স্থান পায়। উল্লেখ্য, কানাডার প্রতিটি প্রদেশের আলাদা পতাকা রয়েছে।

 

কানাডার জাতীয় সংগীত ‘ও কানাডা’ ১৯৮০ সালের ১ জুলাই সরকারিভাবে গৃহীত হয়। রবার্ট স্ট্যানলি নামে মনট্রিয়লের একজন আইনজীবী এ গানটির গীতিকার আর সুর দিয়েছেন ক্যুইবেকের প্রখ্যাত গীতিকার ক্যালিক্স লাভালী। ১৮৮০ সালের ২৪ জুন এ গানটি ক্যুইবেকের একটি ব্যাংকুইট হলে প্রথম গাওয়া হয়। প্রথমে গানটি ছিল ফরাসি ভাষায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ইংরেজি এবং ফরাসি ভাষায় কানাডার জাতীয় সঙ্গীতটির দৈর্ঘ্য সমান হলেও দুই ভাষায় এর অনেকাংশের অর্থ দুই রকম।

 

সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে কানাডা বিশ্বের কাছে একটি দৃষ্টান্ত। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ অভিবাসী কানাডায় বসবাসের জন্য আসেন। বর্তমানে কানাডার মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-পঞ্চমাংশ অভিবাসী।

 

কানাডার কী কী বিখ্যাত:
বিশ্বের দীর্ঘতম টাওয়ার কানাডিয়ান ন্যাশনাল টাওয়ার (সি এন টাওয়ার) উচ্চতা ৫৫৩ মিটার। ১৯৭৫ সালে এর নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়।

 

ট্রান্স কানাডিয়ান হাইওয়ে। পৃথিবীর দীর্ঘতম হাইওয়ে (৭,৩০৭ কিলোমিটার)। ১৯৬২ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

বিশ্বের দীর্ঘতম রাস্তা বা ষ্ট্রিটও কানাডায়। টরন্টোর হারবার ফ্রন্ট অর্থাৎ লেক অন্টারিওর তীর থেকে যে রাস্তা শুরু হয়েছে আর শেষ হয়েছে গিয়ে রেইনি নদীর তীরে; সে রাস্তার নাম ইয়ং ষ্ট্রিট (হাইওয়ে ১১ নামেও পরিচিত)। স্যার জর্জ ইয়ং এর নামে এ রাস্তার নামকরণ করা হয়। অনেকে ভুল করে Younge লিখে থাকেন; আসলে এটার বানান Yonge। এ রাস্তার দীর্ঘ হচ্ছে ১ হাজার ৯শত ৫০ কিলোমিটার।

 

বিশ্বের সর্ববৃহৎ জলপ্রপাত নায়াগ্রা ফল্স, আদিবাসীদের পুণ্যভূমি। প্রায় ১০ হাজার বছর আগে আবিষ্কৃত। ১৮ শতকের প্রথম দিকে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বর্তমানে ১৫ মিলিয়ন পর্যটক প্রতিবছর নায়াগ্রা ফলস দেখতে আসেন।

 

পৃথিবীর দীর্ঘতম উপকূলবর্তী এলাকা কানাডায় (২,৪৪,০০০ কিলোমিটার)।

টরন্টোর রয়েল ইয়র্ক হোটেল কমনওয়েলথ দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হোটেল। এর নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯২৯ সালে।

ম্যাকাঞ্জি নদী (১,১২৮ কিলোমিটার) কানাডার দীর্ঘতম নদী নর্থ-ওয়েস্ট টেরিটোরিতে অবস্থিত।

 

কানাডার সবচেয়ে শীতল শহর হচ্ছে উইনিপেগ। জানুয়ারিতে স্বাভাবিক তাপমাত্রা মাইনাস ১৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।

অবাক হলেও সত্যি! শুধুমাত্র মনট্রিয়ল শহরের রাস্তা থেকে প্রতি বছর ৪২ মিলিয়ন টন তুষার পরিষ্কার করে ফেলা হয়।

১৯০৭ সালে কানাডার নোভাস্কশিয়াতে প্রথম ডায়ালিং টেলিফোন উদ্বোধন করা হয়।

কুইবেক কানাডার বৃহত্তম প্রদেশ (১৫,৪০,৬৬০ বর্গ কিলোমিটার)।

সবচেয়ে ক্ষুদ্র প্রদেশ প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ড (৫,৬৬০ বর্গ কিলোমিটার)।

কানাডায় প্রতি পরিবার গড়ে বছরে প্রায় ৭৫,০০০ ডলার ব্যয় করে থাকে।

 

কানাডার বিখ্যাত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন টেলিফোনের আবিষ্কারক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল, হেনরি উডওয়ার্ড, বিশ্বখ্যাত সংগীত শিল্পী সেলিন ডিওন, পপশিল্পী জাস্টিন বিবার, লেখিকা মার্গারেট অ্যাটউড, চলচ্চিত্র পরিচালক জেমস ক্যামেরন, অভিনেতা রায়ান রেনল্ডস এবং হকি কিংবদন্তি ওয়েন গ্রেটস্কি।

 

কানাডিয়ানদের গর্ব করার মতো অনেক কিছুই রয়েছে। আজ যে বৈদ্যুতিক বাল্ব-এর আলোয় আমরা রাতকে দিন বানাতে পারি সে বাল্ব-এর আবিষ্কারক হচ্ছেন টরন্টোর হ্যানরি উডওয়ার্ড। ১৮৭৪ সালে বর্তমান উডওয়ার্ড স্ট্রিটের (তার নামেই রাস্তার নাম দেওয়া হয়) ৮৭ নম্বর বাড়িতে তাঁর গবেষণায় তিনি সফল হন।

 

কানাডাতে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবহার শুরু হয় ১৮৭৭ সালে। মনট্রিয়ল হারবার কমিশন নগরীর ওয়াটারফ্রন্টে প্রথম বৈদ্যুতিক আলো জ্বালিয়ে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করে।

 

১৮৮৮ সালে অন্টারিওর জর্জটাউনের বারবার পেপার মিলসের মাধ্যমে বিশ্বের প্রথম বিদ্যুৎ চালিত কারখানার সূচনা। ১৯০০ সালের গোড়ার দিকে কানাডিয়ান নাগরিকরা বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ লাভ করে।

 

কেরোসিন নামক যে জ্বালানি তেলের সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত সেই কেরোসিন তেলের উদ্ভাবকও একজন কানাডিয়ান। তাঁর নাম ডক্টর আব্রাহাম গেসেনার। তিনি হ্যালিফ্যাক্সের অধিবাসী। এ নামটি তারই দেওয়া। ১৮৪৬ সালে নিউ ব্রান্সউইকের রাজধানী শার্লোটাউনে অনুষ্ঠিত এক প্রদর্শণীতে এ নতুন উদ্ভাবিত জিনিসটি তিনি তুলে ধরেন।

 

রাস্তার মাঝখানে যে সাদা দাগ দেখা যায় এর প্রচলনও শুরু হয় কানাডাতে। অর্থাৎ যার মস্তিষ্ক থেকে এ ধারণাটা এসেছে তিনি একজন কানাডিয়ান–নাম জে ডি মিলার। তিনি ছিলেন অন্টারিও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একজন প্রকৌশলী। ১৯১৯ সালের পর যখন রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে তখন তিনি চিন্তা করেন রাস্তার মাঝখানে সাদা দাগ দিয়ে দুভাগ করে দিলে দুটো গাড়ি পাশাপাশি নিজ নিজ সীমানায় চলতে পারে। ১৯৩০ সালের মধ্যে তাঁর এই ফর্মূলা উত্তর আমেরিকার সব শহরে চালু হয়ে যায়।

 

কানাডার সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। প্রবীণ, শিশু, শরণার্থী ও বেকারদের জন্য বিশেষ ভাতা প্রদান করা হয়। ১৩ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা এবং সকল নাগরিকের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।

 

পরিবেশ সংরক্ষণে কানাডিয়ানরা অত্যন্ত সচেতন। প্রতিদিন গড়ে ৩২৯ লিটার বিশুদ্ধ পানি ব্যবহারে কানাডা বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। দেশটির প্রায় ৭০ শতাংশ ভূমি এখনও মানুষের বসবাসের বাইরে, যা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

 

অর্থনৈতিকভাবে কানাডা অত্যন্ত সমৃদ্ধ। বিশ্ব অর্থনীতিতে কানাডার অবদান উল্লেখযোগ্য। এখানকার অর্থনীতির প্রধান খাতগুলো হলো প্রাকৃতিক সম্পদ, প্রযুক্তি, কৃষি, এবং শিল্প উৎপাদন। কানাডিয়ান স্টক এক্সচেঞ্জের বার্ষিক লেনদেন প্রায় ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলার। দেশটির গড় আয়ু ৮২ বছর। স্বাস্থ্যখাতে জাতীয় আয়ের প্রায় ১১.৭ শতাংশ ব্যয় করে কানাডা।

 

কানাডার এই অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলো দেশটিকে বসবাসের জন্য আদর্শ করেছে। উন্নত জীবনমান, সামাজিক নিরাপত্তা, সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মেলবন্ধনে কানাডা সত্যিই বিশ্বের সেরা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।


error: Content is protected !!