
অবস্থানভেদে কারও ঘরের ভেতরে কোমরসমান পানি, কারও আবার প্রায় বুকসমান পানি।প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজধানীর মিরপুরের কালশী আবাসন নয়াক্যাম্প। এ অবস্থায় বস্তির কয়েক শ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন কালশী উড়ালসড়কের নিচের খালি জায়গায়।
আজ রবিবার( ১ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালশী আবাসন নয়াক্যাম্প বস্তিবাসীদের মাঝে হস্তশিল্পি কারচুপি ও হ্যান্ড এমব্রয়ডারি শ্রমিক ফেডারেশন উদ্যেগে খিচুর রান্না করে বিতরণ করা হয়। ।
গত বৃহস্পতিবার দিন ও রাতের বৃষ্টিতে বস্তি এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এ কারণে বস্তির এই বাসিন্দারা উড়ালসড়কসহ কালশী আবাসন নয়াক্যাম্প আশ্রয় নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে তাঁরা এই জায়গায় অবস্থান করছেন বলে জানান।সরেজমিনে দেখা যায়, উড়ালসড়কের নিচে কয়েক শ মানুষের ভিড়। কেউ বসে আছেন, কেউবা দাঁড়িয়ে। পলিথিনে থলিতে থাকা মুড়ি-গুড় খাচ্ছিলেন কেউ কেউ।
উড়ালসড়কের নিচের উঁচু স্থানে কেউ কেউ ভিজে যাওয়া তোশক বা জাজিম শুকানোর জন্য বিছিয়ে রেখেছেন। পানিতে নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষায় অনেকে নিজেদের ব্যবহৃত টেলিভিশন-রেফ্রিজারেটর ঘর থেকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন।
উড়ালসড়কের নিচে আশ্রয় নেওয়া বস্তিবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকলে তাঁদের ঘরে পানি ঢুকতে শুরু করে। রাত ৯টা-১০টার দিকে অনেকের ঘরে প্রায় হাঁটুসমান পানি উঠে যায়। এ অবস্থায় রাত ১১টার দিকে বস্তিবাসীরা কালশী আবাসন নয়াক্যাম্প ও উড়ালসড়কের নিচে এসে আশ্রয় নিতে শুরু করেন। অনেকে আবার কাছাকাছি থাকা আত্মীয়-স্বজনের বাসায় গিয়ে উঠেছেন বলে জানা গেছে।বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে কালশী বালুর মাঠ বস্তি।
ঘটনাস্থলে থাকা হস্তশিল্পি কারচুপি ও হ্যান্ড এমব্রয়ডারি শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি মো. ইব্রাহিম হাসান মিঠু বলেন, পল্লবী থানাস্থ কালশী আবাসন নয়াক্যাম্প বাসীর দুরাবস্থার কথা চিন্তা করে আমরা এখানে এসেছি । আমার সাথে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ছানাউল্লাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া আরমান , পল্লবীর থানার মো. কামাল, মো. ফাহিম , মো, আমির, মো, তারেক, মো, ইমাদুল আরো অনেকে এসেছে। সংগঠনের কার্যনিবার্হী কমিটির নির্দেশে আজ রাতে আমরা বস্তিবাসীদের মাঝে হালকা খাবার হিসেবে খিচুরি দিয়েছি। আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করেন স্থানীয় বাসিন্দা মানবাধিকার কর্মী গুড়িয়া আপা।