ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩রা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩রা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সকল শিক্ষক সংগঠন ও ইসলামের সাথে সম্পর্কিতদের দৃষ্টি আকর্ষণ : ইসলামি শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশের মহাসচিব- মোঃ আবদুর রহমান

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইসলামি শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশের মহাসচিব মোঃ আবদুর রহমান বলেন-বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কিত কিছু বিষয় যা নিয়ে তিনি বলেন বাংলাদেশের ৫ লক্ষ শিক্ষক কর্মচারী এবং বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ  কওমী এবং আলিয়া মাদ্রাসার আলেম ওলামারা জামাত ইসলামের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ হবে- ১)  ধর্মীয় কারিকুলাম সংকুচিত করার কারণে বাংলাদেশের প্রায় ৬৭ হাজার প্রাইমারি স্কুলেই এখন শিক্ষার্থী সংকট চলছে। সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচনের জন্য শিক্ষার্থী তথা ছাত্র ছাত্রীরা বিভিন্ন মাদ্রাসায় চলে যাচ্ছে।  গবেষণা রিপোর্টে ফাইন্ডিং এসেছে -এই অবস্থা থেকে বাঁচাতে প্রাইমারি স্কুলগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ করা প্রয়োজন । শিক্ষার্থী সংকট দূর করার জন্য প্রাইমারি স্কুলগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে ধর্মীয় শিক্ষক (কওমী  +আলিয়া) অতি আবশ্যক।

আবদুর রহমান বলেন – বাংলাদেশের প্রাইমারি স্কুল গুলোর জন্য বিগত সরকারের আমলে সিদ্ধান্ত রয়েছে ৭০০০ নাচ,গান এবং শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলেও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে সেটি বাস্তবায়ন করার জন্য ।এতে উল্লেখ্য আছে  একজন শিক্ষক বেশ কয়েকটি স্কুলের দায়িত্বে থাকবে। নিয়োগ পাওয়ার পর পালাক্রমে  স্কুলগুলোতে দায়িত্ব পালন করবে। ওই নিয়োগটা আপাতত স্থগিত রেখে ৬৭০০০ স্কুলের জন্য আপাতত যদি ২০/২২ হাজার ধর্মীয় শিক্ষক (  কামিল + দাওরা) নিয়োগ দেওয়া হয় তাহলে সেই সকল শিক্ষক পালাক্রমে ৬৭০০০স্কুলে শিক্ষার্থীদেরকে  বিশুদ্ধ ভাবে কোরআন তেলাওয়াত, অধ্যয়ন এবং ইসলামের মৌলিক বিধি-বিধান পালনে অভ্যস্ত করতে পারবেন। এটা জাতির জন্য এক মহাকল্যাণকর কাজ হবে।

তিনি আরো বলেন- রেভিনিউ ফান্ড থেকে সম্ভব না হলে উন্নয়ন প্রকল্প থেকে এ নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। পর্যায়ক্রমে সে সকল শিক্ষক রাজস্ব বাজেটে স্থানান্তরিত হবেন। প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন গবেষণাতে ও ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন । এর ফলে শিক্ষার্থীদের কে অন্যত্র চলে যাওয়া এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের  সুপারিশ রয়েছে।

(আপাতত সরকারের কাছে মুসলিম প্রধান এলাকায়  ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষক এবং কোন এলাকায় অন্য ধর্মাবলম্বী থাকলে তাদের শিক্ষক নিয়োগ করা যেতে পারে মর্মে দাবি জানাতে পারে।বাংলাদেশে যদি ২০ হাজার ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া লাগে।তারপাশা পাশি হিন্দু ধর্মের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া লাগতে পারে লাগতে পারে মাত্র ২০-৩০ জন এবং  খ্রিস্টান ধর্মীয় ৫ জন। এছাড়াও বলতে পারে ভবিষ্যতে জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে “পর্যায়ক্রমে কওমি এবং আলিয়া থেকে পাসকৃতদের মধ্য থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিচার নিয়োগ দেবে ।এই ধরনের ঘোষণা মাদ্রাসা অঙ্গনে ব্যাপক ইতিবাচক চাঞ্চলের সৃষ্টি করবে।)

২) অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতাগ্রহণের পরপর প্রাথমিক শিক্ষার পুনর্গঠন পুনরবিন্যাসের জন্য একটি “কনসালটেশন কমিটি” করা হয়েছিল । প্রবল আপত্তির মুখে সেটা বাতিল করা হয়। প্রথমটা বাতিল করে পরবর্তীতে যেটা করা হয়েছে এটাও পুরোপুরি একেবারেই নাস্তিক কমিউনিস্ট। এর প্রধান করা হয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপককে এবং ব্রাক ইউনিভার্সিটির বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত ইরা মরিয়মকে ও কমিটিতে রাখা হয়েছে।এটা হল সেই ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় যারা সমকামিতার পক্ষে অ্যাডভোকেসি করার জন্য ভিডিও বানিয়েছে, ট্রানজেন্ডার নিয়ে কথা বলার জন্য ড. আসিফ মাহতাবকে চাকুরিচ্যুত করেছে। সরকারের প্রাক্তন ৩ জন আমলাকে এই কমিটিতে আনা হয়েছে,৩ জনই কমিউনিস্ট। এই কনসালটেশন কমিটি এর অঘোষিত মেম্বার সেক্রেটারি হিসেবে যিনি কাজ করেছেন  জনাব চৌধুরী মুফাদ আহমেদ,  বদরুদ্দীন ওমরের শিষ্য,লেখক শিবিরের শীর্ষ ব্যক্তিদের এক জন  এই চৌধুরী মুফাদ আহমদ প্রাইমারির একটি ব্যর্থ প্রজেক্ট এর যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক ছিলেন। ওই ব্যর্থ প্রকল্পের একজন কনসালটেন্ট বর্তমানে এনজিও নেত্রী শামসিয়ার আহসান ওই কমিটির সদস্য। এবং প্রাইমারি সংস্কারের জন্য গঠিত কনসাল্টেশন কমিটি প্রাইমারি কে কিছু দিতে তো পারবে না বরঞ্চ ধ্বংসই করতে পারবে শুধু।

৩) আমাদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধানচন্দ্র রায় পোদ্দার, তিনি কমিউনিস্ট পার্টি করতেন। জাস্ট মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগে যোগদান করেছিলেন। ওনার প্রশ্রয় এবং আনুকূল্যে রাখাল রাহা নামে এক ব্যক্তি ন্যাশনাল কারিকুলাম শিক্ষা, পাঠ্যপুস্তক বোর্ড , প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর , জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমীসহ প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এক প্রকারের জিম্মি করে রেখেছেন।

আবদুর রহমান বলেন- আমি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ও শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করি অবিলম্বে – ০১/ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্মের শিক্ষক নিয়োগ,  ০২/ মাধ্যমিকে হেড মাওলানা ও সহকারি শিক্ষক নিয়োগ , ০৩/শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্ম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করলে   ইসলাম ও মুসলমান উপকৃত হবে।

 


error: Content is protected !!