
করোনা পরিস্থিতির কারনে ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিক সংকট দেখা দেয়ার কারণে জেলার পানছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে রোজা রেখে কৃষকের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২ মে) সকাল থেকে পানছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলার উল্টাছড়ি গ্রামের কৃষক জিয়াবুল হকের ২ কানি (৮০ শতক) জমির পাকা ধান স্বেচ্ছাশ্রমে কেটে আধা কিলোমিটার পায়ে হেঁটে ঘরে তুলে দেওয়া হয় ।
উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দেশ জুড়ে লকডাউনে স্তব্ধ হয়ে গেছে মানুষের জীবনযাত্রা। কিন্তু স্তব্ধ হয়ে যাইনি প্রকৃতির নিয়ম । সবুজ আবরণ ভেদ করে সোনালী আলোয় মাঠে শোভা পাচ্ছে কৃষকের সোনালী ফসল ধান। ঘরে তুলতে হবে উক্ত ধান; কিন্তু শ্রমিক সংকট থাকায় কৃষকের হতাশা ঘুঁচাতে স্বেচ্ছাশ্রমে পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিলাম। এছাড়াও লকডাউনে হোম কোয়ারান্টানে থাকা মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা সহ প্রয়োজনীয় পণ্যও ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছি আমরা।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির দিকনির্দেশনা ও খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগেরর পরামর্শ মোতাবেক করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় পানছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগেরর সেচ্ছাসেবক টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে প্রতিনিয়ত। করোনা পরিস্থিতির কারণে ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ জায়গায় ধানে সোনালী বর্ণ ধারণ করেছে। তাই শ্রমিক সংকটে যাতে কৃষক তার ফসল তুলতে বাধাগ্রস্ত না হয় সেদিকটি বিবেচনা করে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া ছাত্রলীগ।
আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম, উল্টাছড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান কবির সাজু সহ করোনা প্রতিরোধ পানছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সেচ্ছাসেবক টিম।