করোনা পরিস্থিতির কারণে ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিক সংকট দেখা দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে রোজা রেখে কৃষকের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১১ মে/২০২০) সকাল থেকে পানছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে উপজেলার শনটিলা গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ রফিক মিয়ার ২একর (২০০ শতক) জমির পাকা ধান স্বেচ্ছাশ্রমে কেটে ও মেশিনে মাড়াই করে দেওয়া হয় ।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর মোমিন বলেন, দেশ জুড়ে লকডাউনে স্তব্ধ হয়ে গেছে মানুষের জীবনযাত্রা। কিন্তু স্তব্ধ হয়ে যাইনি প্রকৃতির নিয়ম । সবুজ আবরণ ভেদ করে সোনালী আলোয় মাঠে শোভা পাচ্ছে কৃষকের সোনালী ফসল ধান। ঘরে তুলতে হবে উক্ত ধান; কিন্তু শ্রমিক সংকট থাকায় কৃষকের হতাশা ঘুঁচাতে স্বেচ্ছাশ্রমে পাকা ধান কেটে দিতে আমাদের এই সহযোগিতা।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেনে বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ জায়গায় ধানে সোনালী বর্ণ ধারণ করেছে। তাই শ্রমিক সংকটে যাতে কৃষক তার ফসল তুলতে বাধাগ্রস্ত না হয় সেদিকটি বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়েছি আমরা উপজেলা আওয়ামীলীগ। এছাড়াও লকডাউনে হোম কোয়ারান্টানে থাকা মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা সহ প্রয়োজনীয় পণ্যও ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছি আমরা।

কৃষক মোহাম্মদ রফিক মিয়া বলেন, আমার জমির ধান গুলা পেকে যাওয়াতে আমি বিপাকে পড়ে যাই, পরে আমি উপজেলা আওয়ামীলীগের কাছে অবেদন করি আমাকে সহযোগিতার, আমার আবেদন শুনে ওনারা আমার এই ধান কেটে দেই। আমি ওনাদের এভাবে সহযোগিতা করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার একটা কৃষি কার্ট ছিলো যা আমি হারিয়ে ফেলাতে উপজেলা কৃষি অফিসার আমার ধান গুলি নিচ্ছে না, ধান গুলা যদি নেই তাহলে আমার অনেক উপকার হতো।

অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন – উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জাতীয় শ্রমিকলীগের সিনিয়র সহ সাভাপতি মোহাম্মদ আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো মনির হোসেন ও সদর ইউনিয়নের ছাত্রলীগ যুগ্ন সম্পাদক মো জহিরুল ইসলাম ও সদস্য বৃন্দ।