
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিককালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, প্যালেস্টাইনে ইসরায়েলের অগ্রাসনের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। এর ফলে আমাদের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে তা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি বিশ্ব শান্তির জন্য যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান অব্যাহতভাবে করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনে আবেদনকারী দেশ না হলেও অন্যতম ভুক্তভোগী দেশ। নিজস্ব অর্থে আমরা অভিযোজন সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। তবে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (২০২৩-২০৫০) বাস্তবায়নে প্রয়োজন প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আবার ২০৩০ সালের মধ্যে ন্যাশনাললি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি) বাস্তবায়নের জন্য ১৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন হবে।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলাসহ সার্বিকভাবে সম্পূর্ণ এসডিজি বাস্তবায়নে বৈশ্বিক অর্থায়ন একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। যেহেতু রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ এবং আমাদের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে এসডিজিকে সমন্বিত করে কাজ করছি, তাই আমরা আশাবাদী যে ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত লক্ষ্যমাত্রাসমূহ বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জনে সক্ষম হবো।