ঢাকা, সোমবার, ২রা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঢাকা, সোমবার, ২রা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পানছড়িতে ভূমিহীন ও গৃহহীন ৬৫ পরিবার পেল জমি সহ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর

পানছড়ি, খাগড়াছড়ি :
বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না ” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমে এবার খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায় ৫ম পর্যায়ের ( ২য় ) ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীন ৬৫ পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান করা হয়েছে।

 

 

১১ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার সকাল ১০টার সময় গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি উপকারভোগী পরিবারের নিকট গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি।

 

 

সারাদেশব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধনের অংশ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে পানছড়ি উপজেলায় বরাদ্দ পাওয়া ৫ম পর্যায়ের ( ২য় ) ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীন ৬৫ পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান করার পাশাপাশি একটি করে বিভিন্ন ফলজ চারা বিতরণ করা হয়। আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে এর শুভ উদ্বোধন এবং সনদ বিতরন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌমিতা দাশ।

 

 

এই সময় উপস্থিত ছিলেন পানছড়ি উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিতা ত্রিপুরা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিকা বড়ুয়া, সমবায় কর্মকর্তা সঞ্চিতা ভৌমিক, জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাফর উল্লাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার দেব, প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়নাথ দেব,বীর , মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ মনিরুজ্জামান, চেঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান উচিত মনি চাকমা, আনন্দ জয় চাকমা, ও উপকার ভোগীগণ।

সরকারের পক্ষ থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের নতুন ঘর উপহারে পেয়ে খুশি ও উচ্ছাস প্রকাশ করেন অসহায় পরিবারগুলো। এই ঘর তাদের জীবনে নিয়ে এসেছে নতুন সম্ভাবনার এক ক্ষেত্র।

 

 

সুবিধা বঞ্চিত এসব অসহায় মানুষগুলো এবার থেকে থাকবেন দুই কক্ষবিশিষ্ট সেমি পাকা ঘরে। যেখানে তাদের নুন আনতে পানতা ফুরাতো, সেখানে এমন পাকা ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা তারা।

 

 

পানছড়ি উপজেলার উল্টাছড়ি ইউপিতে নতুন ঘর পেয়েছেন সুরুজ আলী।স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে নিয়ে নতুন ঘরে উঠছেন তিনি। তিনি বলেন, আমি দিনমজুরি কাজ করে ভাঙ্গা বাসায় থেকে কোনো রকম সংসার চালাচ্ছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের যে ঘর দিয়েছে তা আমি কখনো তুলতে পারতাম না। আমার ঘর নিয়ে আর চিন্তা নেই। যা কামাবো তা দিয়ে পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকতে পারবো।

 

 

ফাতেমা নগর এলাকায় ঘর পাওয়া সুবিধাভোগী প্লাউমা মারমা বলেন, আগে ছিলাম বেড়ার ঘরে। বর্ষাকালে ভেতরে পানি ঢুকতো। নতুন ঘর তুলবো সে সামর্থ্য ছিল না। এখন সরকারের পক্ষ থেকে পাকা ঘর পেয়েছি। এখন পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে আছি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।


error: Content is protected !!