ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ বাড়ি ভাঙচুর ও মালামাল লুটের ‌অভিযোগ

মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকায় বাড়ি বিক্রয়ের ২৬” বছর পর পরিবার কে উচ্ছেদ করে বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ অমান্য করে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ বসত ভিটা থেকে জোর পূর্বক উচ্ছেদ করেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।
গতকাল ১৩’মে রোজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) এ একটি সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মোঃ ইয়াছিন বেগ (৫০) এই অনিয়মের তথ্য তুলে ধরেন।

 

 

তিনি গণমাধ্যমকে জানান- ফিরোজা খাতুন বিগত ০৯/০৫/১৯৯৫ ইং তারিখের মৌখিক দান মূলে এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ থেকে নামজারী করিয়ে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি বাড়ীর মূল্য ২৩,০০,০০০/(তেইশ লক্ষ) টাকা নির্ধারণ করে বিক্রয় করেন (ইয়াছিন বেগ) এর পিতা মৃত- মোঃ আব্দুল মতিন বেগ এর নিকট বাড়ীটি বায়না করার সময় ফিরোজা খাতুন স্বীকার করেননি যে তাহার স্বামী গোলাম রাব্বানী বাড়ীর মূল কাগজ বন্ধক রাখিয়া “অগ্রণী ব্যাংক মিরপুর ১ শাখা” থেকে টাকা ঋন গ্রহণ করেন।
সকল ঋণ পরিশোধ করার পরও ফিরোজা বেগম তৃতীয় এক ব্যক্তির নিকট আবারও সম্পত্তিটি বিক্রির অবৈধ চক্রান্তে লিপ্ত হন। এবং এর সত্যতা জানার পর ফিরোজা বেগম গং কে জানালে তিনি বিভিন্ন প্রকার হুমকি ও রাজনৈতিক প্রভাব দেখাতে থাকেন।
বিষয়টি নিকটবর্তী রূপনগর থানায় অবহিত করলেও ওসি মোকাম্মেল কোন ধরনের সহযোগিতা করেন নাই। পরবর্তীতে ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান করেন – তায়েব উর রহমান আশিক রহমান (এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট) উচ্ছেদ অভিযান এ বাড়ি ভেঙে দেওয়ার কোন নোটিশ না দেখিয়েই “দুই” তলা বিশিষ্ট বাড়িটির বুলডোজার ও ক্রেইন এর মাধ্যমে সামনের অংশ থেকে অধিকাংশ অবকাঠামো ভেঙে দেওয়া হয়।
এবং বাড়িটিতে অবস্থানরত মো: ইয়াসিন বেগ এর পরিবারের সকল আসবাবপত্র ও দৈনন্দিন পোশাক পরিচ্ছদ সহ সকল মালামাল স্পট নিলামের মাধ্যমে টুটুল নামে এক ব্যবসায়ীর নিকট নিলামে সর্বোচ্চ অর্থদাতা হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে সুপ্রিম কোর্ট সিএমপি নং- ৩৪২/২৫ এ একটি আট সপ্তাহের এস্টে অর্ডার প্রদান করেন।

 

 

কোর্টের আদেশ এর পরেও বাড়ি ভাঙচুর এর কাজ চলমান রয়েছে এ বিষয়ে রূপনগর থানা ওসি কে জানানো হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন কিন্তু কোর্ট আদেশ এর বহুদিন পার হয়ে গেলেও আশানুরূপ কোন পদক্ষেপ নেন নি ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ ।
তিনি এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।

 

 


error: Content is protected !!