ঢাকা, শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঢাকা, শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাভারণ সিটি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু। স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্ত শুরু

শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি:-যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ, সাতক্ষীরা মোড়ে অবস্থিত সিটি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় তাহেরা খাতুন নামে একজন ব্রেস্ট টিউমার রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ মনজুরুল মুরশিদ পত্র প্রাপ্তির ৭ কার্য দিবসের মধ্যে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রশিদুল আলমকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ দিকে কতিপয় গণমাধ্যম কর্মী ও প্রভাবশালীদর সাথে নিয়ে  সিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। মোটা অংকের অর্থ দিয়ে তদন্ত কমিটিকে ম্যানেজ করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায় বেনাপাল পোর্ট থানার কাগজপুকুর গ্রামের কলোনী পাড়ার রেজাউল ইসলামের স্ত্রী গত ১৮ এপ্রিল বুধবার রাত ৮ টার সময় তাহেরা খাতুন বুকের ব্যথার চিকিৎসা নিতে নাভারণ সাতক্ষীরা মোড়ে, সিটি হাসপাতালে ভর্তি হয়। দায়িত্বরত ডাক্তাররা তাকে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর, তার ব্রেস্ট টিউমার হয়েছে বলে ডাক্তার জানায়। এক পর্যায়ে সিটি হাসপাতালের ডাক্তারদের পরামর্শে, রাত ১০ টার সময় হাসপাতালের এমবিবিএস ডাক্তার সুজিত রায়, তাহেরা খাতুনকে অপারেশনের জন্য ওটি কক্ষে নেন। এ সময় অজ্ঞান করার দায়িত্বে ছিলেন এমবিবিএস ডাক্তার আশরাফুল আলম। অপারেশন শেষে রোগীর জ্ঞান না ফেরায়, যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার সুষ্ট বিচারের দাবী করছেন নিহতের পুত্র শহিদুল ইসলাম।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোছাম্মদ মাহফুজা খাতুন জানান ঘটনাটি আমার এলাকায় হলেও খুলনা স্বাস্থ্য দপ্তর এ বিষয়ে তদন্তের জন্য ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রশিদুল আলমকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ মনজুরুল মুরশিদ বলেন এ বিষয়ে তদন্তের জন্য যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রশিদুল আলমকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কোন ছাড় দেয়া হবে না।
ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রশিদুল আলম বলেন খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর থেকে তদন্তের নির্দেশনা পাওয়ার পর মেডিসিন বিশেজ্ঞ ডাঃ রফিকুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে। নির্ধারিত সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

error: Content is protected !!