ঢাকা, সোমবার, ১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঢাকা, সোমবার, ১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বন্যায় আক্রান্ত দেশ, কার্যকরী পদক্ষেপের এখনই সময়!

প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমনঃ বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, অধিক বৃষ্টিপাত, প্রবল খরা, ভূমিকম্প ও ভূমিধস আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ভৌগলিক কারণে বাংলাদেশের মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের

মধ্যে বসবাস করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।(The people of Bangladesh are living in natural disasters due to geographical and will also be in the future.)

অতিসম্প্রতি আমাদের ওপরে বন্যার প্রভাব পড়েছে, বন্যায় প্রতিনিয়ত নিমজ্জিত হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন, পৌরসভা, গ্রাম, পাড়া-মহল্লা। আমাদের দেশে সাধারণত প্রতিবছর এই সময় বন্যার প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যায় এই বছরও তার ব্যতিক্রম নয়নি।

সাম্প্রতিক বন্যায় দেখা যাচ্ছে মানুষের দুর্দশা বিগত সময়গুলোর থেকে অধিক পরিলক্ষিত হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে দেশের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের অধিক জেলা বন্যায় কবলিত। সব শ্রেণীর মানুষ চরম অসহায় এর মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। বন্যার প্রভাবে  মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।বন্যা সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ ব্যাধি যেমন: ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েডে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। দারিদ্র, অতি দরিদ্র ও তুলনামূলক আর্থিক স্বচ্ছল মানুষরাও খাদ্যাভাবে দিন কাটাচ্ছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছেন, এবারের বন্যা দীর্ঘকালীন হতে পারে, তার প্রভাব আমরা ইতিমধ্যে লক্ষ্য করছি কিন্তু অতি পরিতাপের বিষয় বন্যা মোকাবেলা করার জন্য বন্যার সময় বন্যা আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কর্তৃপক্ষের যতটুক ভূমিকা থাকা দরকার আমরা তা বাস্তবে দেখছি না!

বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা দেখতে পাচ্ছি বন্যা আক্রান্ত অসহায় মানুষদের আর্তনাদ,আরো বেশি দেখতে পাচ্ছি  বন্যা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ও পরিধি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন স্থান প্রতিদিন বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে।

অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু ও তুলনামূলক নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বন্যা দুর্গত মানুষের কষ্ট ও দুর্দশার কথা শুনতে পাচ্ছি, বন্যা অঞ্চলে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন সংস্থাগুলো যদিও বলছে তারা বন্যা আক্রান্ত মানুষের বিভিন্ন রকম সাহায্য সহযোগিতা করছে কিন্তু বন্যাদুর্গত মানুষেরা এমনও বলেছে আমরা পাঁচ দিন ধরে পানিবন্দি ঘরে আর কোন খাবার-দাবার নেই কোন মানুষই আসে নাই কেমন আছি জিজ্ঞাসা করার জন্য? সাহায্য করা তো দূরের কথা!

অতি পরিতাপের বিষয় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মাণের জন্য বরাদ্ধকৃত টাকা চলে যাই অন্যের পকেট।  দুর্নীতি পরায়না গ্রাস করে ফেলছে বাঁধ নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ এর ফলে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ লক্ষ লক্ষ মানুষ বন্যা নামক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে শুধু দুর্ভোগের শিকার নয় দেশের ক্ষতি হচ্ছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি, বিলীন হয়ে যাচ্ছে কৃষকের উৎপাদিত ফসল। (The matter of great regret is the money allocated for the construction of the flood control dam. Corruption is devouring the money allocated for the construction of dams. Due to this, millions of people are constantly suffering floods in the name of floods.)

মানুষের ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হচ্ছে। কোন কোন সময় দেখা যাচ্ছে বাঁধ ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্ছে স্কুল-কলে্জ,‌ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন স্থাপনা এমনকি পুরো গ্রাম গিলে খাচ্ছে সর্বনাশা বন্যা।

বন্যা আক্রান্ত মানুষ গুলো খুব অসহায় তীর্থ কাকের মত চেয়ে আছে কে একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবে। সরকারের যে সকল সংস্থাগুলো কাজ করে তারা যদি সত্যিকার অর্থেই তাদের উপরে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে তবে বন্যা আক্রান্ত মানুষের দুর্ভোগ অনেকাংশে কমবে। একটি কথা মনে রাখতে হবে বন্যার্তদের জন্য যে সাহায্য করা হচ্ছে সেটা কিন্তু এই বাংলাদেশের মানুষেরই অর্থ, সেই অর্থের যথাউপযুক্ত ব্যবহার সুনিশ্চিত হোক বন্যা আক্রান্ত মানুষগুলো তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক এই কামনা সমস্ত বাঙালি হৃদয়ে ধারণ করে।

সবুর মিয়া…..


error: Content is protected !!