ঢাকা, সোমবার, ১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঢাকা, সোমবার, ১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফুটেছিল ভালবাসার গোলাপ

গতকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি হয়েগেল বিশ্ব ভালবাসা দিবস। দিবসটিতে একে অপরকে ভালোবাসা জানানোর প্রধান উপকরণই হলো ফুল। ইতিমধ্যে চিরিরবন্দরে ফুল বাগানের মালিকরা ভালোবাসার ফুল সরবরাহে তাদের বাগান প্রস্তুত করেছেন। বেশি মুনাফা পেতে বিশেষ এই দিনের জন্য ব্যবসায়ীরা নানা কৌশল অবলম্বন করে বাগানে ফুল সংরক্ষণ করেছেন। চিরিরবন্দরে সব গোলাপ যেন তুলে রাখা হয়েছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের জন্য। কয়েক দিন ধরে চিরিরবন্দরে কোথাও মিলছে না গোলাপ। ফুল ব্যবসায়ীরা জানান, বাগান মালিকরা ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে গোলাপ উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছেন। বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে বাগানে ওই দিনের জন্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে গোলাপ।
কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান, অন্য সময় যেখানে প্রতিটি গোলাপ পাঁচ টাকায় বিক্রি হয় সেখানে ভালোবাসা দিবসে একেকটি গোলাপ বিক্রি হবে অন্তত ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকায়। ফুলের বাগানগুলোও প্রস্তুত ভালোবাসা দিবসের জন্য। থোকায় থোকায় ফুটে আছে গাঁদা, রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাসসহ দেশি-বিদেশি নানা জাতের ফুল। এসব ফুল বাগান থেকে তোলা হবে ভালোবাসা দিবসের আগের দিন। বাগান মালিকরা জানান, পরিচর্যায় ফুলের বৃদ্ধি ঘটে। দিন-তারিখ হিসেব করে বাগানের পরিচর্যা করা হয়েছে যাতে নির্ধারিত সময়ে ফুল তোলা যায়।
বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরে পালিত হচ্ছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এ দিনে সব বয়সের মানুষ আনন্দ-আড্ডায় মেতে থাকেন ভালোবাসা আদান-প্রদানে। আর এর প্রধান মাধ্যম হচ্ছে ফুল। ভালোবাসা দিবসে ফুল ছাড়া যেন চলেই না। বর্তমানে তারা শুধু বাগানের গোলাপ উত্তোলন বন্ধই করেননি বরং দিবসটির জন্য বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে বাগানেই সংরক্ষণ করেছেন ফুল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফুলের দোকানের মালিক জানান, বছরের অন্যান্য সময় বিশেষ প্রয়োজনে ক্রেতারা প্রতিটি গোলাপ পাঁচ টাকায় কিনতে পারেন। কিন্তু ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ২০ টাকার নিচে গোলাপ মিলবে না। কখনো কখনো এর দাম ওঠে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
চিরিরবন্দরের আশপাশের এলাকায় গোলাপের বাগান রয়েছে 5টির মতো। সরেজমিনে একটি বাগানে গিয়ে দেখা যায়, গোলাপ সংরক্ষণের অভিনব কৌশল। বাগান মালিক যেন কানে কানে বলছেন ‘হে গোলাপ, ভালোবাসা দিবসের আগে তুমি ফুটিও না।’ মালিকের এই আকুতি গোলাপ শুনুক আর নাই শুনুক, ওইদিনের আগে গোলাপ যেন ফুটে ঝরে না যায় সেজন্য ফুটন্ত কুঁড়িতে পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে এক ধরনের বিশেষ ক্যাপ। এতে গোলাপের কুঁড়ি বড় হবে কিন্তু ফুল ফুটে পাঁপড়ি ঝরে পড়ার সুযোগ পাবে না। এভাবে এক মাস পর্যন্ত গোলাপ সংরক্ষণ করা যায়।

————–মো: মানিক – চিরিরবন্দর-( দিনাজপুর) থেকে:


error: Content is protected !!