ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হলুদ চাষীদের খুসির আমেজ খাগড়াছড়িতে হলুদের বাম্পার ফলন

এম ,জামান রাজ ,খাগড়াছড়ি থেকে: পার্বত্য খাগড়াছড়ির হাট বাজার গুলোতে এখন শুকনো হলুদের বিক্রির হিড়িক পরেছে। শুকনো হলুদ মণ প্রতি ৫০০০ টাকা পেয়ে কৃষক সূখ চাঁন চাকমা ও ফুলেন্দরী ত্রিপুরা খুশিতে আত্মহারা। খাগড়াছড়ির দিঘীনালা ও পানছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদের পাহাড় ও সমতলে হলুদের বাম্পার ফলন হয়েছে। পানছড়ি চেংগী ইউপির তারাবন ছড়া গ্রামের হলুদচাষী অপুন্দ্র চাকমা জানান, একর প্রতি ১২০ কেজি কাঁচা হলুদ রোপন করি। ফলন ভালো হলে রোপনের ১০ গুন বেশী কাঁচা হলুদ জমি থেকে তোলা যায়। প্রতি ৪ মণ কাঁচা হলুদ সিদ্ধ করে শুকানো হলে এক মণ শুকনো হলুদ পাওয়া যায়। এছাড়াও হলুদ চাষে তেমন যতœ নিতে হয় না। এবার পার্বত্য অঞ্চলে শুকনো হলুদের দামবৃদ্ধি ও ফলন ভাল হওয়ায় হলুদ চাষীদের চোখেমুখে খুশির আমেজ এসেছে। দিঘীনালার বাবুছড়া ইউনিয়নের নিলমনি চাকমা পানছড়ির উল্টাছড়ি ইউপির মরাটিলা গ্রামের কান্তি ত্রিপুরা জানান,এ বছর গত বছরের তুলনায় ফলন ভাল হওয়ায় ও বাজারে দাম ভাল পাওয়ায় অনেক লাভবান হয়েছি। আগামীতে হলুদের চাষ ব্যাপকভাবে বাড়বে। হলুদ ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক ও আব্দুল জলিল বলেন, হলুদের জাত ও শুকনোনুষায়ী মণপ্রতি ৪০০০ টাকা হতে ৫৫০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। চলতি মৌসুমে প্রতি হাটের দিন আমরা ১০০ থেকে দেড়শ মণ শুকনো হলুদ কিনে থাকি। এগুলো আমরা ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনী,কুমিল্লায় পাইকারী বিক্রি করি। বিশেষ করে জেলার দিঘীনালা ও পানছড়ি উপজেলার প্রতি হাটবারে অনেক পাইকারী ব্যবসায়ীরা শুকনো হলুদ কিনে থাকে। শহরাঞ্চলে শুকনো হলুদের দাম বেশী হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ীগন শুকনো হলুদের জন্য আগাম টাকা দিচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
পানছড়ি কৃষি স¤প্রসারণ অফিস জানায়, উপজেলায় ৫টি ইউনিয়নে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে হলুদের চাষ হয়েছে এবং ৮০০০ মেঃ টন প্রায় ফলন হয়েছে। ফলন ভাল আর দামবৃদ্ধি হওয়ার আগামী বছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশী চাষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি কর্মকর্তা আলাউদ্দিন শেখ জানান।


error: Content is protected !!