ঢাকা, রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঢাকা, রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নড়িয়ায় নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

নড়িয়া প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের নড়িয়ায় বাংলা নাটকের ধ্রুবপুত্র নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের ১১তম মহা প্রয়ান দিবস উপলক্ষে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২৭ জানুয়ারী) নড়িয়া উপজেলা সভাকক্ষে বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার, হাজী শরীয়তুল্লাহ অঞ্চল’র আয়োজনে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের।

বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার হাজী শরীয়তুল্লাহ অঞ্চলের প্রাক্তন সমন্বয়কারী এ্যাড. মো আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ী, শরীয়তপুর জেলা পরিষদ সদস্য আলমগীর হোসেন।

স্মরণসভায় আলোচক ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেস গ্রাম থিয়েটার সভাপতি মন্ডলের সদস্য অধ্যাপক আফসার আহমদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ’র পরিচালক ও গ্রাম থিয়েটার সভাপতি মন্ডলের সদস্য নাট্যকার সেলিম সাকলাইন, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার হাজী শরীয়তুল্লাহ অঞ্চলের প্রথম সমন্বয়কারী বুলবুল শফিকী, বর্তমান সমন্বয়কারী ও কীর্তিনাশা থিয়েটার’র পরিচালক আহমেদ জুলহাস, উদীচি শিল্পী গোষ্ঠী নড়িয়া উপজেলা সভাপতি সাইদুল হক মুন্না, চাকধ থিয়েটারের পরিচালক রকি আহমেদ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন মাহমুদুর রহমান হারিছ।

স্মরণসভায় আলোচকগণ নতুন নাট্যকর্মীদের সেলিম আল দীনের নাটক পাঠ ও প্রয়োগ ভাবনা আনুধাবন করার তাগিদ দেন। সেলিম আল দীন বাংলা নাটককে উপনিবেশিকতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে হাজার বছরের ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। রবীন্দ্রোত্তর বাংলা নাটকের এই ক্ষণজন্মা পুরুষ শুধু একজন অসামান্য নাট্যকারই ছিলেন না, ছিলেন একজন দক্ষ সংগঠক। যিনি বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার সৃষ্টির একজন অন্যতম কারিগর। সেলিম আল দীন হাজার বছর বেঁচে থাকবেন তার অমর নাট্যসৃষ্টির মাধ্যমে এবং তাঁর নাটক আরো বেশি করে মঞ্চায়ন হওয়া উচিত কারণ তাঁর নাটকই বাংলা নাটকের দর্পনসম।

প্রসঙ্গত ১৯৪৯ সালে ১৮ আগস্ট ফেনীর সোনাগাজিতে জন্মগ্রহণ করেন সেলিম আল দীন। ১৯৭৪ সালে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। তার হাত ধরেই ১৯৮৬ সালে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ। ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন রবীন্দ্রোত্তরকালের শ্রেষ্ঠ এই নাট্যকার। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।


error: Content is protected !!