ঢাকা, সোমবার, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঢাকা, সোমবার, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসলে মনটা সারাক্ষনই মেলায় পড়ে থাকে- প্রধানমন্ত্রী

শুরু হলো প্রাণের বইমেলা। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯ এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনটিতে বিকেল ৩টায় শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।

বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি শুধু আমাদের শহীদ দিবসই নয়, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দুজন প্রবাসী বাংলাদেশি এবং তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচেষ্টায় ১৯৯৯ সালে ‘বাংলা’ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার সম্মান লাভ করে। ‘৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমে বাঙালি জাতি বিশ্ব দরবারে খুনি জাতির পরিচিতি লাভ করেছিলো। আজ আবারও আমরা আমাদের ভাবমূর্তি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে পেরেছি। বিশ্বে বাংলাদেশ আজ অসাম্প্রদায়িক একটি দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী তো আর যখন তখন বইমেলায় আসতে পারেন না। এ আফসোস ফুটে ওঠে শেখ হাসিনার কণ্ঠে। বলেন, আগে যখন ক্ষমতায় ছিলাম না, তখন এই মেলায় অনবরত ঘুরে বেড়াতাম। আর এখন অনেকটা বন্দি জীবন, এখন ইচ্ছা থাকলেও আসা যায় না। আর আসলেও অন্যের অসুবিধা হয়। সত্যি কথাটা কি, মনটা পড়ে থাকে এই বইমেলায়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি। এছাড়া, বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন বিশিষ্ট সংস্কৃতিকর্মী রামেন্দু মজুমদার। অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত আছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী। আরো উপস্থিত আছেন প্রফেসর ইমেরিটাস শিক্ষাবিদ ড. আনিসুজ্জামান, পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষ এবং মিশরের লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক মোহসেন আল-আরিশি।

এ প্রতীক্ষিত আয়োজনে ২০১৮ সালে বিজয়ীদের হাতে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। চার লেখকের হাতে বাংলা একাডেমি পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। এবার পদক পেয়েছেন কবিতায় কাজী রোজী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাহিত্যে আফসান চৌধুরী, কথাসাহিত্যে মোহিত কামাল ও প্রবন্ধ-গবেষণা সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ।

পাশাপাশি ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস্ অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-ভলিউম-২, ১৯৫১-১৯৫২’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয় বাংলা একাডেমি প্রকাশিত মোহসেন আল-আরিশি রচিত বইয়ের অনুবাদ ‘শেখ হাসিনা : যে রূপকথা শুধু রূপকথা নয়’ বইটি। বাংলাদেশের মতো মুসলিমপ্রধান একটি দেশে একজন নারী নেতৃত্বে এসে শেখ হাসিনা কীভাবে মানুষের দিনবদলের রূপকার হয়ে উঠলেন, সেই বিবরণ এই বইয়ে তুলে ধরেছেন আরিশি।

প্রতি শুক্র ও শনিবার বইমেলায় শিশু প্রহর থাকবে। এ দুদিন মেলার আসর বসবে বেলা ১১টায়। শিশু প্রহর চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এরপর বিকেল ৩টা থেকে শুরু হবে মেলার দ্বিতীয় পর্ব। শুক্র ও শনিবার বাদে অন্যান্য দিন মেলা শুরু হবে বিকেল ৩টা থেকে। উন্মুক্ত থাকবে রাত ৯টা পর্যন্ত।


error: Content is protected !!