নড়িয়া (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি: শরীয়তপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালে আইসোলেশনে মুজাম্মেল মুন্সী (৫৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি গত ২৫ মে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও গলা ব্যাথা নিয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে তাকে আইসোলেসনে ভর্তি করা হয়। ঈদের কিছুদিন আগে মোজাম্মেল মুন্সী ঈদ করার জন্য তার গ্রামের বাড়ি নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বরে আসেন। আজ সকালে আইসোলেশন ওয়ার্ডেই তার মৃত্যু হয়।
শরীয়তপুর জেলা সিভিল সার্জন অফিসের করোনা কন্ট্রোল রুমের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ফোকাল পার্সন ডা. মো: আব্দুর রশিদ জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা মোজাম্মেল মুন্সীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি রমজানের মধ্যে ঈদের আগে জ্বর, গলাব্যাথা নিয়ে নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বরে বাড়িতে আসেন ঈদ করার জন্য। পরে তিনি শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে তার মধ্যে করোনা উপসর্গ থাকায় হাসপাতাল কতৃপক্ষ তাকে আইসোলেশনে ভর্তি রাখেন। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়ন্তী রূপা রায় জানান, তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি আবাসন প্রকল্পে চাকরি করতেন। তিনি ঢাকা থেকেই জ্বর ও সর্দি নিয়ে আসেন এবং আসার পর পরই শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আইসোলেসনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ সকালে আইসোলেসনে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি আরো বলেন, উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশ ও উপজেলা পুলিশ প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবধায়নে তার দাফক কার্য সম্পন্ন হচ্ছে। ইতিমধ্যে তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার ফলাফল না আসা পর্যন্ত নিহতের পরিবারের সকল সদস্যদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা সিভিল সার্জন এস.এম আব্দুল্লাহ্ আল-মুরাদ বলেন, এদিকে জেলায় শরীয়তপুরে দিনদিন বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১২১ জনে। এছাড়া করোনায় আক্রান্তদের ৩৩ জন এ পর্যন্ত সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে এ পর্যন্ত যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তারা সবাই ঢাকা নারায়নগঞ্জ থেকে এসেছেন। ঢাকা-নারায়নগঞ্জ থেকে যারা বাড়িতে আসে। তাদের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেশী থাকে। তাই আমি অনুরোধ করছি, যারা ঢাকা-নারায়নগঞ্জ বা অন্য কোন জেলা থেকে এসেছেন, তারা অবশ্যই ঘরে থাকুন, নিজে সুস্থ্য থাকুন এবং আপনার পরিবারকে সুস্থ্য থাকতে সহায়তা করুন। তবেই ভাল থাকবে দেশ, ভাল থাকবো আমরা।