ঢাকা, শুক্রবার, ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঢাকা, শুক্রবার, ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালী কারাগারে কয়েদির চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার ,নোয়াখালী :
নোয়াখালী জেলা কারাগারে দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদির দুই চোখে কলম দিয়ে আঘাত করেছেন আরেক কয়েদি।

 

১ অক্টোবর ২০২৩ , রবিবার ভোর ৬টার দিকে জেলা কারাগারের নিচ তলার ১ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। আহত কয়েদি নূর হোসেন বাদলকে (৩২) উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

 

জেলা কারাগার সূত্র জানায়, ২০২১ সালে বেগমগঞ্জের একলাশপুরের নারী নির্যাতনের একটি মামলায় জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নূর হোসেন বাদলকে ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়। পরে ওই মামলায় তিনি জামিন পেলেও অপর আরেকটি মামলায় তাঁর বিচার কার্য চলমান থাকায় তাঁকে কারাগারে রাখা হয়।

 

কারাগারে নিচ তলার একটি কক্ষে অপর কয়েদিদের সঙ্গে থাকতেন বাদল। গত দুই মাস আগে বাদলের এলাকা একলাশ পুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণ পুর গ্রামের মহিন উদ্দিনকে (৩৩) মাদকদ্রব্যসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় লোকজন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাঁর কারাদন্ড হওয়ার পর তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারের দ্বিতীয় তলায় থাকতেন তিনি।

 

কারাগার কর্তৃপক্ষ জানান, দুই আসামির পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন মহিন উদ্দিনকে আটক ও পুলিশে সোপর্দ করার পেছনে নূর হোসেন বাদলের মামারা জড়িত রয়েছেন। এর আগেও কোনো এক সময় বাদলের চোখ তুলে নিবে বলে মহিন হুমকি দিয়েছিল বলে জানা গেছে।

 

এসব ঘটনার জের ধরে রোববার ভোর ৬টার দিকে অন্য কয়েদিরা ঘুমে থাকার সুযোগে কারাগারের দ্বিতীয় তলা থেকে নেমে এসে নূর হোসেন বাদলের বুকের ওপর বসে কলম দিয়ে তাঁর দুই চোখ উপড়ে ফেলার উদ্দেশ্যে আঘাত করেন মহিন উদ্দিন। এ সময় বাদলের চিৎকারে অন্য কয়েদি ও কারারক্ষীরা এগিয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করে।

 

জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. জাবেদ হোসেন জানান, ঘটনার পরপর আহত কয়েদি নূর হোসেন বাদলকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ও পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর দুই চোখে কলম দিয়ে আঘাত করার কারণে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান ।


error: Content is protected !!