
স্টাফ রিপোর্টার ,খাগড়াছড়ি :
পানছড়ি সড়ক এখন মৃত্যু ফাঁদ ; প্রতিদিনই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। খানা-খন্দে ভরা পানছড়ি-খাগড়াছড়ির আঞ্চলিক সড়ক।
প্রতিদিনের ন্যায় পানছড়ির লতিবান এলাকায় রাস্তাতেই উল্টে গেছে মালবাহী ট্রাক। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে চালক ও তার সহযোগী। ১৭ অক্টোবর ২০২৩ , মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়, বছরের পর বছর ধরে সড়কটি খানা-খন্দ আর পুরো সড়ক জুড়েই ছোট ছোট কুয়োর মতো গর্তে ভরা। ২৬ কিলোমিটার সড়কের কলাবাগান, পোড়াবাড়ি, মঞ্জুআদাম, লতিবান, নালাকাটা, দেওয়ান পাড়া, শিব মন্দির, কুকি ছড়া সহ বেশির ভাগ সড়ক জুড়ে খানা-খন্দ। যার কারণে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।
পানছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিউটন চাকমা জানান, সড়কে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। রাস্তার কাজ হবে হবে শুনতে শুনতে চলে যাচ্ছে বছর । আসলেই আমাদের দেখার কেউ নেই। এই সড়কে দুর্ভোগের শেষ নেই। এই সড়কে যতক্ষণ চলি ততক্ষণই আতংকে চলি।
নালকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক উচিং মারমা জানান, কয়েকদিন পর পরই সড়কে মেরামত কাজ চলে। যা থেকে লাভবান হচ্ছে কিছু কিছু ঠিকাদার আর সড়ক ও জনপথ বিভাগ। শুনেছি অনেক আগেই এই রাস্তার কাজের ওয়ার্ক অর্ডার ঠিকাদারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু কী কারণে কাজ শুরু করছে না তা সাধারণ জনজন ও পথচারীরা জানতে চায়। শিক্ষার্থীরা প্রায়শঃই রাস্তার কাদায় পোষাক নষ্ট করে বিদ্যালয়ে আসে। এর প্রতিকার চাই।
এ্যাম্বুলেন্স চালক আবদুল কাদের জানান, এই সড়কে রোগী পরিবহন করা তো দূরের কথা, খালি গাড়ি নিয়ে চলাচল করাও কষ্টকর।
পানছড়ি উপজেলা প্যানেল চেয়ারম্যান চন্দ্র দেব চাকমা বলেন, রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। খাগড়াছড়ি থেকে পানছড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুরোটাই সমতল। এই সমতল সড়কটির কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য তিনি খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান বলেন, সড়কের কাজ কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হবে। বৃষ্টির জন্য আপাদত কাজ ধরছে না। তবে আমাদের নিয়মিত কাজের লোক গর্তগুলো ইট দিয়ে ভরাট করছে। তবে ভারী যানবাহনে তা টিকছে না।