ঢাকা, শনিবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঢাকা, শনিবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের গুড ফ্রাইডে উপলক্ষে সাজ সরঞ্জামাদি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করলো সেনা জোন

স্টাফ রিপোর্টার, থানচি,বান্দরবান:
প্রাকৃতিক রূপ ও বৈচিত্র এর এক অনন্য নৈসর্গ আমাদের এই বান্দরবান জেলা। বিভিন্ন ধর্মালম্বীদের নিয়ে সম্প্রীতির এক বন্ধনে গড়ে উঠেছে এই জনপদ। জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন এর পাশাপাশি সার্বিক উন্নয়নের জন্য বরাবরের মতো কাজ করে আসছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানেও বান্দরবান রিজিয়নের অবদান উল্লেখযোগ্য।

 

খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন গুড ফ্রাইডে। বম এবং ত্রিপুরা উপজাতির মধ্যে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের গুড ফ্রাইডে ( ১৮ এপ্রিল ২০২৫) ধর্মীয় উৎসবকে আরো সৌন্দর্য মন্ডিত করার লক্ষে পাশে ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

 

১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার সকালে ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের-এর অধিনায়ক এর পক্ষ হতে বাকলাই পাড়া সাবজোনের অন্তর্গত বাসিরাম পাড়া, বাকলাই পাড়া এবং প্রাতাপাড়া পাড়ায় ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে পাড়া বাসীর জন্য মিষ্টান্ন, কেক, ধর্মীয় উপাসনালয়ের এর জন্য সাজ সরঞ্জামাদি এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন বাকলাই পাড়া সেনা সাব জোনের সাবজোন কমান্ডার।

 

ধর্মীয় উৎসবের এই দিনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পাশে পেয়ে বাসিরাম পাড়ার কারবারি জীবন ত্রিপুরা বলেন, ‘আমাদের ধর্মীয় বড় উৎসবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যে পাশে রয়েছে এতে আমরা অনেক আনন্দিত। সেনাবাহিনীর সহযোগিতার প্রতি আমরা অনেক কৃতজ্ঞ।’

বাকলাই পাড়ার স্কুল শিক্ষক জয় রাম বম বলেন, ‘ বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সহযোগীতা আমাদের উৎসবকে আরো বেশি আনন্দের করে তোলে। সেনা বাহিনীকে পাশে পেয়ে পাড়ার সকলে আমরা অনেক খুশি। ‘

 

 

প্রাতা পাড়ার কারবারি পার্কেল বম বলেন, ‘সেনাবাহিনী সহযোগিতায় আমরা পুনরায় পাড়ায় ফিরতে পেরেছি। পাড়ার উন্নয়নের পাশাপাশি আজকের এই দিনেও সেনা বাহিনীর অবদানে আমরা সকল পরিবার অনেক আনন্দিত। বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর নিরাপত্তার কারণে আজ আমরা শান্তি পূর্ণভাবে জীবন যাপন করতে পারছি।’

 

 

গুড ফ্রাইডে উৎসব আয়োজনের ব্যাপারে অধিনায়ক, ‘১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট বলেন, ধর্মীয় উৎসব হলো একটি আনন্দের দিন। পাড়ার সকল গুরুত্বপূর্ণ দিনে সেনাবাহিনী সব সময় সাধারণ জনগনের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সকলের উৎসবমুখর পরিবেশে বিশেষ ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করার লক্ষে সেনাবাহিনী সর্বদা সচেষ্ট। সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগ স্থানীয়দের জন্য একটি বড় সমর্থন এবং আনন্দ-উল্লাসের উৎস হিসেবে কাজ করেছে। শান্তি সম্প্রীতি এবং উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে আমাদের নিরলস প্রচেষ্টা সব সময় অব্যাহত থাকবে। ‘


error: Content is protected !!