
রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব বরাবর চিঠি দিয়েছেন জনস্বার্থে বাংলাদেশের মহাসচিব মো. সাইফুল ইসলাম। সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইব্রাহীম হাসান মিঠু,দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান আনসারী (সুমন)।
ভোটের আগে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের সময় আরো ৬ মাস বৃদ্ধি করার দাবি জানান তারা। সেই সাথে ১৯৭২ অনুযায়ী রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের কালো আইন বাতিল করার ও দাবী জানান হয়। চিঠিতে তারা উল্লেখ্য করেন- বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চা করতে হলে আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন বদলাতে হবে। এটি বদলালেই নতুন নতুন দল এবং যে কোন ভাব্ধরার দলকে নিবন্ধিত করাটা অর্থপূর্ণ হবে। আমলাতান্ত্রিক মানসিকতা থেকে বের হতে হবে।রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইনে যে তিনটি শর্ত দেওয়া হয়েছে তা কোন ভাবেই কাম্য নয়।
২০০৮ সালের পূর্বে বাংলাদেশের যে কোন নাগরিকের জন্য রাজনৈতিক দল গঠন করা উন্মক্ত ছিল। সেভাবেই করে দেওয়া উচিত বলে জানান।এছাড়া তাদের দল থেকে ৬টি শর্ত মেনে নিবন্ধন দেওয়া পরামর্শ দেওয়া হয় যেমনঃ ১) গঠনতন্ত্র ২) কেন্দ্রীয় কমিটি ৩) প্রতীক ৪) ব্যাংক একাউন্ট ৫) কেন্দ্রীয় কার্যালয় ৬) নিবন্ধন ফি।
চিঠিতে আরো উল্লেখ্য করেন – ২০০৮ সালের পর রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা ও প্রাসঙ্গিক আইনের অধীনে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন শর্তগুলো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অসাংবিধানিক। পূর্বের স্বৈরাচারী সরকারের আমলে তৈরি এই বিধিগুলো রাজনৈতিক বহুত্ববাদকে সংকুচিত ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য প্রণীত।
কিন্তু আমাদের দেশে তিনটি কালো আইন দিয়ে রেখেছে যেমন -১৯৭২ অনুযায়ী, কোনো দল নিবন্ধন পেতে চাইলে তিনটি শর্তের যেকোনো একটি পূরণ করতে হবে। এগুলো হচ্ছে স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত কোনো সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে কমপক্ষে একটি আসনে বিজয়। সেসব নির্বাচনে দলটির প্রার্থীরা যেসব আসনে অংশ নিয়েছেন, সেসব আসনে মোট ভোটের ৫ শতাংশ অর্জন এবং কেন্দ্রীয় কমিটিসহ দলের একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকতে হবে। দেশের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ জেলায় কার্যালয় থাকতে হবে। আর অন্তত ১০০টি উপজেলা বা মেট্রোপলিটন এলাকার থানায় দলীয় কার্যালয় থাকতে হবে, যার প্রতিটিতে সদস্য হিসেবে কমপক্ষে ২০০ জন ভোটার থাকবেন। এই কালো আইন ধারা নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন সম্ভব নয়।