
অধীর রাজবংশী, মুন্সিগঞ্জ :
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ ফরহাদ আজিজ মানহানির অভিযোগে পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি সহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
গত ১৬ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে মুন্সীগঞ্জ জজ কোর্টে দায়েরকৃত এই মামলার আর্থিক ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ধরা হয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। মামলাটি পরিচালনা করছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট বাদল কৃষ্ণ পোদ্দার।অ্যাডভোকেট বাদল জানান, এটি মুন্সীগঞ্জ জেলার ইতিহাসে দায়ের হওয়া প্রথম মানহানির মামলা।
মামলায় যেসব ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সাবেক পরিচালনা পর্ষদের সদস্য।”
১.সাবেক এমপি বিকল্পধারা মাহি বি চৌধুরীর ও সাবেক সভাপতি আশফাহ হক লোপা, ২. নোমান খান নবীন ৩. আব্দুর রউফ ৪. সাখাওয়াত হোসেন বিলাস ৫. কমল চক্রবর্তী ৬. কামরুজ্জামান খান কাঞ্চন ৭.আবু তালেব সোবহান ৮. মনীন্দ্র নাথাবালা ৯. মনির হোসেন ১০. হোসনে আরা বেগম ১১. ফজলে আমলা
ইনস্টিটিউশন ও কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি থাকাকালীন সময় অধ্যক্ষ ফরহাদ আজিজের বিরুদ্ধে ২১ লাখ ২৫ হাজার ৯৫৯ টাকা লুটপাটের অভিযোগ এনে গত ২০২৩ সালের ১৬ মার্চ ১০ম সভায় সাময়িক বরখাস্ত এবং জুনের ২১ তারিখে ১৫তম সভায় স্থায়ী বরখাস্ত করে অনুমোদনের জন্য শিক্ষাবোর্ডে চিঠি প্রেরণ করে।
ফরহাদ আজিজ জানান, শিক্ষা বোর্ডের আদেশ এবং কমিটির সদস্যদের মধ্যস্থতায় গত ১৫ জুলাই আমাকে স্বপদে পুনর্বহাল করে। কিন্তু ৫ আগস্ট বিগত সরকারের পতন হলে কমিটির লোকজন কিছু বখাটে লোকজন দিয়ে ৩ সেপ্টেম্বর আমাকে বালাশুর থেকে আমার ব্যক্তিগত গাড়ি ভাংচুর করে এবং হেনস্থা করে প্রতিষ্ঠানে ধরে নিয়ে আসে। আবারও এখানে বখাটে লোকজন দিয়ে আমাকে দ্বিতীয়বার হেনস্থা করে এবং লিখিত পদত্যাগ পত্রে জোর করে স্বাক্ষর করায়। আমি এ ঘটনায় কমিটির সদস্য এবং বখাটেদের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ জজকোর্ট এ, ক্রিমিনাল মামলা দায়ের করি। যা সিআইডির তদন্তাধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, পরিচালনা পর্ষদের সাবেক কমিটির মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে চাকুরী হতে বরখাস্ত করায় আমার মানহানি ঘটে। আমি ৩০ বছরের শিক্ষকতা জীবনে কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করিনি। তাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করেছি। প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রেহানা নাসরিন জানান, মানহানির মামলার বিষয়ে তিনি অবগত নন।