ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মণিপুর থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন রাজ্য

জাতিগত সংঘর্ষে উত্তপ্ত ভারতের মণিপুর রাজ্য থেকে নিজেদের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বিভিন্ন রাজ্য। বিশেষ বিমানে তাদের নিরাপদে নিজ নিজ রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় সোমবার মণিপুরের ১১ জেলায় সাময়িকভাবে কারফিউ শিথিল করে রাজ্য সরকার।

ইন্ডিয়া টাইমস জানায়, মণিপুরে আটকে পড়া মানুষদের বেশিরভাগই বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষার্থী। বাসিন্দাদের ফিরিয়ে আনতে অনেক রাজ্যই বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করেছে। মণিপুরের সংঘর্ষে গৃহহীনদের সহায়তার জন্য মোইরাং শহরে ত্রাণ শিবির স্থাপন করেছে স্থানীয়রা।

এছাড়াও হিংসাকবলিত মণিপুর থেকে প্রায় ছশো মানুষ পার্শ্ববর্তী মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছেন, যারা প্রায় সবাই কুকি-চিন-মিজো জনগোষ্ঠীর মানুষ। এদিকে, মণিপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৩৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

মিজোরাম সরকার জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (৪ঠা মে) থেকে রবিবার (৭ মে) পর্যন্ত প্রায় ছশো মানুষ মণিপুর থেকে এসে তাদের রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানী আইজল সংলগ্ন জেলাতেই এসেছেন ১৫১ জন। বিভিন্ন অস্থায়ী শরণার্থী শিবিরে তাদের মাথার ওপর ছাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অন্যদিকে মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খুলে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, ওই রাজ্যের মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জাতিগত সংঘর্ষে গত বুধবার থেকে উত্তাল ভারতের প্রত্যন্ত উত্তর-পূর্ব অঞ্চল মণিপুর রাজ্য। এ সহিংসতায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ এর বেশি।

মেতাই সম্প্রদায়ের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে সংঘর্ষ শুরু হয় আদিবাসী ছাত্র সংগঠন এটিএসইউএম ও আদিবাসীদের মধ্যে। সংঘর্ষে বাড়িঘর, যানবাহন, গির্জা এবং মন্দিরে হামলা ঘটনা ঘটেছে।


error: Content is protected !!