
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের দু’গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ২১ জন আহত এবং প্রায় ১৫টি বাড়িঘর ভাংচুর ও কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট হয়েছে। শনিবার সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৩জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি এবং গুরুতর আহত সিকান্দার মোল্যাকে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রামপুর গ্রামের সাবেক মেম্বর রুহুল মোল্যা গ্রæপ ও খাইরুল গ্রæপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে শনিবার সকালে রুহুল গ্রæপের হারুন ও খাইরুল গ্রæপের সিকান্দারের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষ দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ২১জন আহত ও প্রায় ১৫টি বাড়িঘর ভাংচুর এবং কিছু বাড়িতে লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলো- সিকান্দার মোল্যা (৪৫), মুন্নি আক্তার (২০), রেহেনা বেগম (৫০), সালমা বেগম (৩৫), পারভীন বেগম (৩০), উজ্জল মোল্যা (৩৫), সোনালী খাতুন (২৫), লিটন মোল্যা (৩০), মছিয়ার মোল্যা (৪৫), ফুল মিয়া (৭০), শাহা আলম (১৯), খলিল মোল্যা (৫০), রমজান মোল্যা (৩০), ফসিয়ার মোল্যা (৪০), আব্দুল আলিম (৫০), শাহাজাহান মোল্যা (২৬), জলিল মোল্যা (৩০), ই¯্রাফিল মোল্যা (৪৫), শরিফুল ইসলাম (২০), আঃ রহমান (৪৫), আঃ কুদ্দুস মোল্যা (৩০)।
মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারক বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।