
ইয়ানূর রহমান : যশোরের শার্শায় মিজানুর রহমান (৫২) নামে এক কুল চাষির বসত বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা।
সোমবার (১৮ মে) সকাল ৮টায় উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের কাঠুরিয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় শার্শা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভোগী কুল চাষি মিজানুর।
মিজানুর অভিযোগ করে বলেন, সে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার সিংগা গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘ ৭/৮ বছর ধরে উলাশী ইউনিয়নের কাঠুরিয়া গ্রামে ১৮ বিঘা জমি লিজ নিয়ে কুল চাষের পাশাপাশি সেখানে বসবাস করে আসছিল। বিভিন্ন সময়ে ওই গ্রামের মৃতঃ আব্দুস সাত্তারের ছেলে আমান (৪৫), মৃতঃ রব্বেল মিয়ার ছেলে মিলন হোসেন (৪৫), জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে জব্বারুল (৪৫) ও জাহিদ (২২) দীর্ঘদিন ধরে ভয়ভীতি প্রদর্শন পূর্বক চাঁদা দাবি করে আসছিল। সেই বিভিন্ন সময়ে আমার বাগানের কুলের গাছ কাটা সহ বিভিন্ন ক্ষতি সাধন করে আসছিল।
ঘটনার আগের দিন রবিবার ১৭ মে আমার স্ত্রী অসুস্থ থাকায় আমি তাকে নিয়ে বাগআঁচড়ার একটি ক্লিনিকে ছিলাম। আজ সকালে আমান তার ব্যবহারিত মোবাইল নম্বর থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় আমাকে গালিগালাজসহ নানা ধরনের হুমকি-ধামকি দেয়। বলে তুই কোনে। আমি তাকে বলি আমার স্ত্রী অসুস্থ, আমি ক্লিনিকে আসি। তখন সে আমাকে বলে তুই লোকের সাথে আমার নামে আজেবাজে কথা বলেছিস। আমি নাকি তোর গাছ কেটেছি। তুই বাড়ি আয় তোর খবর আছে।
পরে, সকাল ৮টার দিকে প্রতিবেশীরা আমাকে ফোন করে জানায় আমার বসতবাড়িতে উক্ত দূর্বৃত্তরা যোগসাজসে একত্রিত হয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। বসতবাড়িসহ অন্যান্য জিনিসপত্র পুড়ে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে জানান মিজানুর।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আমান বলেন, আমার নামে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তার ঘর পুড়েছে এটা সত্য। তবে কে বা কারা পুড়িয়েছে তা আমার জানা নেই। আমি মিজানকে ফোন দিয়ে সকালে একটি বিষয় জানতে চেয়েছিলাম মাত্র।
এবিষয়ে জানতে চাইলে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, এ ব্যাপারে চাষি মিজানুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের পর ঘটনা তদন্তে অফিসার ফোর্স পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ওসি জানান।