
জিল্লুর রহমান, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি ।। কুষ্টিয়া কুমারখালি উপজেলার চাপড় ইউনিয়ানে ৫ নং ওয়ার্ড সাঁওতা গ্রামে ১২ বছরের এক মেয়ে মোছাঃ শুরমিলা খাতুনকে ধর্ষনের অভিযোগ। সাঁওতা গ্রামে মোঃ মাসুদ সেখ এর ছেলে মো মমিন শেখ (২৬) তার নিজ গ্রামে মো রোকো শেখের মেয়ে মোছাঃ শুরমিলা খাতুন (১২) গতকাল সকাল ১১ ঘটিকার সময় জর পূর্বক ধর্ষন করে। মোছা : শুরমিলা খাতুন এর কাছ থেকে জানা গেছে। মমিন শেখ তাকে জোর কেরে একটি পুরানো বাড়িতে নিয়ে যায় মেয়েটি যখন চিৎকার করতে লাগে তখন মমিন মেয়েটির গালের মধ্যা ওড়না দিয়ে মুখ বেধে রাখে। মমিন ঐ মেয়েটির সাথে জোর করে ধর্ষন করে।
ধর্ষন শেষে মমিন মেয়েটি ওখানে ফেলে আসার সময় মেয়েটি তার মুখের বাঁধা খুলে চিৎকার করতে লাগে।তখন মেয়েটির চিৎকার শুনতে পেয়ে বাড়ির আশপাশের মানুষ ছুটে মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং মমিন কে ঘটনা স্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখে ওখান কার মানুষ। মেমেটির বাবা মো রোকো সেখ গ্রামের মাতব্বর দের কে এই ঘটনা খুলে বলে।গ্রামের ১০ জন প্রধানকে নিয়ে শালিসে বসে তারা। মোঃ মমিন শেখের বাবা মো মাসুদ শেখের কাছে এই শুরমিলা কে তার ছেলে জোর পূর্বক ধর্ষন করেছে বললে মোঃ মাসুদ শেখ ক্ষমতা দেখিয়ে শুরমিলা ও তার বাবা মাকে মারধর করতে যায়। মেয়েটি ও মেয়েটির বাবা সালিশ থেকে চলে আসে এবং থানায় যায় এবং মমিন এর নামে কুমারখালি থানায় একটি অভিযোগ জানায়। এই মমিন শেখের এর রকম কাজ এই প্রথম নয় এর আগে ও সে সাঁওতা গ্রামে একটি মেয়েকে ধর্ষন করে।
এই মেয়েটির বাবা নিয়াত গরিব মানুষ ছিলো বলে আইন এর আশ্রয় নেওয়ার আগে মোঃ মমিন শেখ এর বাবা মোঃমাসুদ শেখ ও তার দল বল মেয়েটির বাবা কে অনেক ধরনের ভয় দেখায় তাই মেয়েটির বাবা আইন এর আশ্রয় নিতে পারে না।এই মোঃ মমিন শেখ এর আগেও দুই টা বিয়ে করে এবং এই বউকে অনেকে নির্যাতন ও মারধর করতো।এই নির্যাতন এর জন্য মোঃমমিন শেখ এর দুই টা বউ চলে যায়। তার পর থেকে মোঃমমিন শেখ এলাকায় নানা ধরনে অপকর্ম করতে শুরু করে। সাঁওতা গ্রাম বাসি এই মমিনের কাজে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। মমিন চাপড়া ইউনিয়নে চায়না মেম্বারের ভাইয়ের ছেলে। চায়না মেম্বারের ক্ষমতা দেখিয়ে মমিন সাওতা গ্রামে সবার সাথে খারাপ আচরণ করে। মেয়েটির বাবা মো রোকো শেখ, কুমারখালি থানায় অফিসার ইনচার্জ মোঃ মজিবুর রহমান স্যারের কাছে অভিযোগ করেন । মোছা শুরমিলা ও তার বাবা মোঃ রোকো শেখ তাদের কাছে সুষ্ঠ বিচার চাই। কুমারখালী থানা অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান বলেন সকল ধরনের খারাপ কাজ কে সে প্রশ্রয় দেবেন না। অফিসার ইনচার্জ বলেন অবশ্যই সুষ্ঠু বিচার পাবেন।