ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাবিকে হত্যার দেবরের আত্মসমর্পণ

শিলনোড়া দিয়ে ভাবি ও তার দুই মেয়ের মাথায় আঘাতের পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় ও হাতে কোপ মেরেছেন দেবর। এতে ভাবির মৃত্যু হয়েছে। মারাত্মক জখম হয়েছে দুই মেয়ে। তবে এমন ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যাননি ঘাতক দেবর। সোজা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন সুলতান আনসারি নামের ওই ব্যক্তি। থানায় এসেই বললেন, ‘আমি তিন মহিলাকে খুন করে এসেছি’।শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভরদুপুরে ভারতের কলকাতা শহরের বুকেই এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, একবালপুর থানায় এলে অভিযুক্ত সুলতান আনসারিকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এ দিন দুপুরে একবালপুর থানায় আসে বছর ২৫ বছর বয়সী ওই যুবক। ডিউটি অফিসারের টেবিলে এসে জানায়, সে আত্মসমর্পণ করতে চায়। কী কারণে সে আত্মসমপর্ণ করতে চাইছে, তা জানতে চাওয়া হলে সুলতান জানায়, সে তিনজন নারীকে খুন করে এসেছে। এ কথা শুনেই সঙ্গে সঙ্গে ওই যুবককে আটক করে তার দেয়া ঠিকানায় পৌঁছে পুলিশ।ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ দেখে, সেখানে মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক মহিলা ও তার দুই মেয়ে। সকলেরই মাথায় ভারি কিছু দিয়ে আঘাতের ক্ষত। গলায় ও হাতে কাটা দাগ। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু অভিযুক্তের ভাবি আকিদা খাতুনকে (৪৫) চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার ২০ ও ১৭ বছরের দুই মেয়ের অবস্থা সংকটজনক। চিকিৎসা চলছে।

 

 

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সুলতান সম্পর্কে নিহত আকিদা খাতুনের মামাতো দেবর। বাড়ি রাজাবাগান থানা এলাকার পাঁচপাড়া রোডে। পারিবারিক কোনো গোলমালের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে কলকাতাভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আকিদার বড় মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছিল সুলতান। তা নিয়ে আকিদা ও তার স্বামীর সঙ্গে কথাও বলেছিল ঘাতক দেবর। কিন্তু ওই দম্পতি কিছুতেই এ বিয়েতে মত দিচ্ছিলেন না। এ দিন দুপুরে সুলতান তাই সোজা হাজির হন আকিদার বাড়িতে।

 

সেই সময়ে আকিদার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। আকিদা ও তার দুই মেয়েকে একা পেয়ে কথা কাটাকাটির মাঝেই শিলনোড়া তুলে তিন জনের মাথায় আঘাত করেন সুলতান। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারেন। পরে আকিদার স্বামী বাড়ি ফিরে এসে দেখেন, বাড়ির সামনে প্রবল ভিড়। তার পরে তিনি জানতে পারেন ঘটনার কথা।


error: Content is protected !!