
জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সিভিল পদে চাকুরীর ভূয়া নিয়োগপত্রের প্রতারণার মামলায় প্রতারক চক্রের ১০ সদস্যকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ভূক্তভোগিদের পক্ষে দায়ের করা মামলায় বুধবার (৩০ সেপ্টেমবর) বিকালে জেলার ইসলামপুর থানা পুলিশ ওই প্রতারকদের আদালতে হাজির করলে সংশ্লিষ্ট বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
প্রতারকরা হল- শেরপুরের ঝিনাইগাতির দুপুরিয়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মুরাদুজ্জামান (৩৭), রংপুরের মিঠাপুকুরের ধলারপাড়া গ্রামের মৃত জুমাহার আলী মাস্টারের ছেলে মমিনুর রহমান (৩৮), শরীয়তপুর সদরের ছিকন্দু গ্রামের আব্দুল সোবাহান মোল্লার ছেলে ফারুক মোল্লা (৪৬), কুমিল্লার দ্বিতীয় মুরাদপুর এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে শামীম হোসেন সোহেল (৪০), নারায়নগঞ্জ সদর থানার খুরেরপাড় এলাকার মৃত শওকত আলীর ছেলে নুর হোসেন (৫২), সিলেটের বিশ^নাথ থানার বন্দুয়া দক্ষিণ নওয়াগাঁও গ্রামের তেরা মিয়ার ছেলে রানা মিয়া (৩০), ঢাকার মিরপুর থানার শেওড়াপাড়ার মাইনুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৯), পশ্চিম শেওড়াপাড়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে ফেরদৌস ওয়াহিদ তুসার (২৯), গোপালগঞ্জের মোকছেদপুর থানার গারলগাতীর গ্রামের মৃত বাবু মুন্সীর ছেলে মাহাবুর মুন্সী (৩৭), লক্ষীপুরের রায়পুর থানার দক্ষিণ রায়পুর এলাকার নগেন্দ্র চন্দ্র মজুমদারের ছেলে বাবুল ওরফে বিজয় (৪৫)।
ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালেরচর ইউনিয়নের বোলাকীপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেনের ছেলে হাফিজুর রহমান বাদি হয়ে প্রতারকদের বিরুদ্ধে বুধবার থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ১৩। ধারা -৪২০/৪০৬/ পেনাল কোডসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৩(২)/৩৫(২)।
এর আগে সেনা বাহিনীর সিভিল পর্যায়ে বিভিন্ন পদে ভূয়া নিয়োগপত্রে দিয়ে মামলার বাদিসহ একই গ্রামের চারজনের নিকট ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ অভিযান চালিয়ে প্রতারকদের আটকের পর গত মঙ্গলবার ভোর রাতে ইসলামপুর থানায় সোপর্দ করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইসলামপুর থানার এসআই মাহমুদুল হাসান মোড়ল জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রতারকদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।