
নড়িয়া (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি: আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বার্সা পক্ষ থেকে অসহায় দুস্থ নদীভাঙ্গা পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
2017 সালে পদ্মার তীব্র ভাঙ্গনে লণ্ডভণ্ড হয়ে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হওয়া চরআত্রা ইউনিয়নের বসাকের চর গ্রামের বাসিন্দারা বিভিন্ন জায়গাতে মাটি ভাড়া করে বসবাস করছেন। সেই সমস্ত অসহায় ছিন্নমূল দুস্থ পরিবার গুলোকে খুঁজে বের করে রাতের আঁধারে পৌঁছে দেয়া হয়েছে ঈদ সামগ্রী। সৃষ্টির শুরু থেকেই বার্সা বিভিন্ন অসহায়-দুস্থ নিম্নআয়ের মানুষের জন্য কাজ করে আসছে। এর আগেও তারা নদীভাঙ্গা পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী সহ বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা করেছিল। এটি একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
এই সংগঠনের পক্ষ থেকে গতকাল রাতে অসহায়-দুস্থ 70 টি পরিবারকে ঈদ সামগ্রী দেয়া হয়।
‘বসাকের চর’ নড়িয়া উপজেলার চরআত্রা ইউনিয়নের নদী গর্ভে বিলীন একটি গ্রাম। ‘বিদ্যাই বল, সাধনায় ফল’ এই স্লোগানকে বুকে ধারণ করে বসাকের চরের কিছু সংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থীরা গড়ে তুলেন ‘বসাকের চর রেডিয়্যান্ট স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন’ সংক্ষেপে ‘বার্সা’ নামক ছাত্র সংগঠনটি। বার্সা’র উদ্যোগে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নদী ভাঙ্গা ছিন্নমূল অসহায় মানুষের মাঝে রাতের আঁধারে সেমাই, চিনি, গুঁড়াদুধ, নুডলস, ভোজ্যতেল ও সাবান পৌঁছে দিয়েছেন। সংগঠনের সভাপতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কামরুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাকির হোসেন বলেন, “বসাকের চরের সাবেক ছাত্র যারা আজ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কর্মরত রয়েছেন, তাদের সার্বিক সহযোগিতা ও নির্দেশনায় ছাত্রছাত্রীদের মাঝে পড়াশুনায় উৎসাহপ্রদানমূলক কর্মকান্ডের পাশাপাশি মানবিক সাহায্যের অংশ হিসেবে সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সহযোগিতা ও উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করা হলেও মহমারী কোভিড-১৯ এর কারণে বৈশ্বিক বিপর্যয়ে সমাজের বিপর্যস্ত মানুষের পাশে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত।” তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল।