ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিহত কর্মচারীর সন্তানকে কোলে তুলে নিলেন ডিসির স্ত্রী

লালমনিরহাটঃ লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মঞ্জুরুল ইসলাম (২৬) গত ১ সেপ্টম্বর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। এর দু’দিন পরই তার স্ত্রীর কোলজুড়ে জন্ম নেয় এক পুত্র সন্তান।

সোমবার (১৪ সেপ্টম্বর) দুপুরে সেই শিশুকে সস্ত্রীক দেখতে ছুটে আসেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর। এ সময় পিতৃহারা ফুটফুটে সেই শিশুকে কোলে তুলে নিয়ে আদার করেন ডিসি পত্নী সাবিহা সুলতানা। এরপর আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি বিভিন্ন উপহার সামাগ্রী তুলে দেন তাদের হাতে।

হাতীবান্ধা উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সোমবার লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক তার সহধর্মিনীকে সঙ্গে নিয়ে নিহত মঞ্জুরুলের শ্বশুরবাড়ি হাতীবান্ধার বড়খাতার পশ্চিম সারডুবী গ্রামে যান।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামিমা সুলতানা। সেখানে বিভিন্ন উপহার সামগ্রীসহ ২টি চেক (একটি ৫২ হাজার অপরটি ২৫ হাজার টাকার) নিহত মঞ্জুরুলের স্ত্রী মিতু খাতুনের হাতে তুলে দেয়া হয়।

নিহত মঞ্জুরুলের স্ত্রী মিতু খাতুন বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে সন্তানটি মানুষ করার জন্য একটি চাকরি চেয়ে আবেদন জমা দিয়েছি। তিনি চাকরির বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।

গত ১ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের হাতীবান্ধা উপজেলার খানের বাজার এলাকায় ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ও লালমনিরহাট ডিসি অফিসের কর্মচারী মঞ্জুরুল আলম (২৬) নিহত হন। মঞ্জুরুল আলম জেলার পাটগ্রাম উপজেলার নবীনগর এলাকার শাহাজাহান আলীর ছেলে ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এমএলএসএস পদে কর্মরত ছিলেন।


error: Content is protected !!