
জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে (৩ নভেম্বর) মঙ্গলবার বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে৷ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর চার জাতীয় নেতাকে যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত এই কালো অধ্যায়টিকে স্মরণ করে। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে পালিত হয় শোকাবহ এই দিনটি।
১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকান্ডের পর তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর আগে ১৫ আগস্টের পর এই চার জাতীয় নেতাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের সমধিক পরিচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দিন আহমেদ একটি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কোটি কোটি বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বঙ্গবন্ধুর অপর ঘনিষ্ঠ সহযোগী এএইচএম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলী আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে নীতি ও কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
শরীয়তপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক এর তত্ত্বাবধায়নে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত গোসাইরহাটে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা করা হয়৷
সভাপতিত্ব করেন উপজেলা অাওয়ামী লীগের সভাপতি অালহাজ্ব মোঃ শাজাহান সিকদার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরপরেই জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনাটি এমন ভাবে নেয়া হয়েছিল পাল্টা অভ্যুথান ঘটার সাথে সাথে যাতে আপনা আপনি এটি কার্যকর হয়। আর এ কাজের জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি ঘাতক দলও গঠন করা হয়েছিল।
উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ আবুল খায়ের, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ নাসির উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুজ্জামান মৃধা, যুবলীগের সাধারন সম্পাদক এমদাদ হোসেন বাবলু মৃধা, ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মিজানুর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি টিটু কতোয়াল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক দেওয়ান আজমল হোসেন নয়ন প্রমূখ।