শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল প্রতিনিধি : দেশের সর্ববৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারতের সাথে আমদানি-রপ্তানি বানিজ্য সহজীকরণে কাস্টমস, বিজিবি ও বন্দরের যৌথ এন্ট্রি শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) বেলা ১২ টার সময় এ এন্ট্রি শাখার উদ্বোধন করেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান।

উদ্বোধন শেষে কমিশনার আজিজুর রহমান সংবাদকর্মীদের জানান, আগে আমদানি রপ্তানি বানিজ্যের সময় একই তথ্য পণ্য প্রবেশ দ্বারে বাংলাদেশ কাস্টমস, বিজিবি ও বন্দরের কাছে তিন বার এন্ট্রি করতে হতো। এতে দ্রæত বানিজ্য সম্প্রসারণে যেমন বাধাগ্রস্থ্য হতো তেমনি রাজস্ব আদায়েও বাধাগ্রস্থ্য হতো। বিষয়টি নিয়ে তিন সংস্থা মিলে আলোচনা করে বাণিজ্য সহজিকরণে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এখন যৌথ এন্ট্রি শাখার উদ্বোধনে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে যেমন গতি বাড়বে তেমনি রাজস্ব আয়ও বাড়বে। বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, আগে তিন জাইগায় তথ্য এন্টির কারনে সময় ক্ষেপণে বাণিজ্যে ধীরগতি নেমেছিল। প্রতিদিন যেখানে ৫শ ট্রাক আমদানি হওয়ার কথা সেখানে ৩শ ট্রাক ঢুকতো। তিনটি শাখার সমন্বয়ে এন্ট্রি শাখার উদ্বোধন বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে।

৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাম্পের সুবেদার আশরাফ জানান, উর্দ্ধতন কর্মকার্তাদের নির্দেশে যৌথভাবে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে করে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে সচ্ছতা ও গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ¦ মফিজুর রহমান সজন জানান, দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমসের কাছে আমরা যৌথভাবে তথ্য এন্ট্রির আবেদন জানিয়ে আসছিলাম। দেরিতে হলেও এ ধরনের উদ্যোগ বানিজ্য সম্প্রসারণে বড় ভূমিকা রাখবে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম, উপ-কমিশনার শামীমুর রহমান, বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল, সহকারী পরিচালনা (ট্রাফিক) আতিকুর রহমান, বেনাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমানসহ কাস্টমস, বন্দর, বিজিবি ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যরা।

উল্লেখ্য, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেনাপোল বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের স্থলপথে যে পণ্য আমদানি হয় তার ৭০ শতাংশ বেনাপোল বন্দর দিয়ে আসে। প্রতিবছর এ বন্দর দিয়ে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি ও ৮ হাজার কোটি টাকার পণ্য ভারতে রপ্তানি হেেয় থাকে। আমদানি পণ্য থেকে সরকার ৫ থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করে।